Monday, April 28, 2014

ভিন্নধর্মী Freelance Marketplace – Oployee এখন পুরোপুরি প্রস্তুত!!!

Oployee কি এবং Oployee এর স্বকীয় বৈশিষ্ট্য

Oployee একটি ভিন্নধর্মী Freelancer marketplace যার কিছু স্বকীয় বৈশিষ্ট্য আছে। বৈশিষ্ট্য সমূহ নিন্মরুপঃ
  • কাজ খুঁজতে হবে না কিন্তু কাজ আপনাকে খুঁজে নেবে  Oployee freelance  marketplace
  • রাত জেগে বিড করার ঝামেলা মুক্ত
  • Fixed Price Project এর পেমেন্ট নিশ্চয়তা
  • অন্যান্য Marketplace এর Rating এর মূল্যায়ন
  • স্থানীয় মুদ্রায় পেমেন্টের এর সুবিধা

Oployee এখন পুরোপুরি প্রস্তুত!!!

বর্তমানে Oployee, Freelancer দের কে Patron (client) এর সামনে উপস্থাপন করার জন্য প্রস্তুত। এ জন্য Freelancer দের কে সাইন আপ করার পর খুবই গুরুত্বপূর্ণ দুটি ধাপ সম্পূর্ণ করতে হবে।
  • সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বেসিক ইনফরমেশন পূরণ করার পর Skill information পূরণ করা।
  • দ্বিতীয়ত Portfolio information পূরণ করা। Portfolio একজন Freelancer কে Patron (client) এর নিকট তার বিশ্বাসযোগ্যতা  ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে সাহায্য করে।

Jury এর মাধ্যমে Skill Verification

Oployee, Freelancer এর Profile completeness যাচাই করে Skill verification এর জন্য profile টি স্বয়ংক্রিয় ভাবে Jury এর নিকট পাঠাবে। Jury হল Oployee কতৃক নির্বাচিত Skilled professionals যারা কিনা স্বস্বক্ষেত্রে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ। Verification সম্পন্ন করার জন্য Jury প্রাথমিক ভাবে Freelancer এর সাথে ইমেইল এর মাধ্যমে যোগাযোগ করবে online interview এর সময় নির্ধারণ করার জন্য। তাই Oployee তে সাইন আপ করার পর নিয়মিত ইমেইল চেক করা গুরুত্বপূর্ণ।
দুপক্ষের যোগাযোগের ভিত্তিতে নির্ধারিত সময়ে Jury, Freelancer এর সাথে Online interview সম্পন্ন করবে Oployee এর নিজস্ব Communication platform ব্যাবহারের মাধ্যমে। Interview এবং যাবতীয় Skill verification শেষে Jury তাঁর Assesment এর উপর ভিত্তি করে Freelancer কে Skill proficiency level প্রদান করবে যা একজন Freelancer এর সত্যিকারের দক্ষতা নিশ্চিত করবে এবং Patron (client) এর নিকট গ্রহণযোগ্যতা বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে। শুধুমাত্র Skill verified freelancer profile সমূহই জব এর জন্য Patron (client) এর নিকট স্বয়ংক্রিয় ভাবে visible হবে। তাই বুঝা যাচ্ছে একটি প্রোফাইল Complete করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
Oployee freelance marketplace

অন্যান্য Marketplace এর Rating এর মূল্যায়ন

একমাত্র Oployee তে Freelancer-দের অন্যান্য মার্কেটপ্লেসে কাজের Experience ও rating information ব্যাবহার করা হয় একটি প্রারম্বিক Rating দেয়ার জন্য। এ জন্য Oployee এর রয়েছে একটি Advance algorithm যা Information analysis করে rating প্রদানে সক্ষম। কারণ দেখা যায় যে নতুন Marketplace এ এসে নতুন করে Rating develop করাটা কিছুটা সময় সাপেক্ষ। আর অবশ্যই অন্যান্য মার্কেটপ্লেসে কাজের অভিজ্ঞতার তথ্য Patron (client) কে সাহায্য করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে  এবং এই তথ্য Patron (client) এর বিশ্বাস অর্জনে সহায়ক।

Oployee একটি সত্যিকারের দক্ষতা ভিত্তিক Freelance Marketplace

Oployee একটি সত্যিকারের দক্ষতা ভিত্তিক Freelance Marketplace, যেখানে Freelancer এর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা যত বেশি তাই কাজ পাওয়ার সম্বাবনাও তত বেশি। তাই যেকোনো অভিজ্ঞ Freelancer এর জন্য Oployee অন্যান্য মার্কেটপ্লেস এর চেয়ে নিঃসন্দেহে বেশি আকর্ষণীয়।
Oployee তে Signup করতে চলে যান http://www.oployee.com এ। রাত জেগে Bidding এর ঝামেলা থেকে মুক্ত হয়ে আপনার Freelancing কে করে তুলুন আপনার সুবিধা মত। Happy Freelancing :)
বিঃ দ্রঃ যারা ইতিমধ্যে Registration সম্পন্ন করেছেন তারা অনুগ্রহ করে যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় তথ্য সমূহ যেমন Skill, Freelancing Experience, Employment, Education, Certification, Portfolio এর Information সহ  Profile complete করে ফেলুন। একটি Complete profile নিশ্চিত করবে দ্রুত Skill verification সম্পন্ন করে Profile টি Patron (client) এর সামনে উপস্থাপন করতে।
প্রোফাইল সম্পন্ন করন সম্পর্কিত ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

রোবট বানান নিজের হাতে ঘরে বসেই !

ইলেকট্রনিক্স শিল্প যেকোনো দেশের উন্নয়নের অন্যতম মাপকাঠি। আমাদের দেশে এই শিল্পকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রয়োজন ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি বিষয়ে পর্যাপ্ত গবেষণার মাধ্যমে নিজস্ব প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা। কিন্তু আমরা যখনই ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি নিয়ে কিছু করার চেষ্টা করি, তখনই আমাদের সামনে আসে হাজারটা প্রশ্নের দেয়াল। যেমন;
  • কে আমাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে?
  • প্রয়োজনীয় উপকরণ কোথায় পাওয়া যাবে?
  • আর্ন্তজাতিক মার্কেট থেকে কিভাবে প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক্স উপকরণ, যন্ত্রাংশ, মডিউল ইত্যাদি সংগ্রহ করা যাবে?
  • কোন নতুন ইলেকট্রনিক্স উপকরণ এবং যন্ত্রাংশ ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য এবং সাপোর্ট কিভাবে পাওয়া যাবে?
  • Micro-controller, FPGA , Arduino, Raspberry Pi এর মতো আপডেটেড ইমবেডেড টেকনোলজি বিষয়ে কিভাবে শেখা যাবে?
আমাদের মেধার কোনো কমতি নেই কিন্তু  প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস, যন্ত্রাংশ আর পর্যাপ্ত সহযোগিতার অভাবে , হাজার হাজার উৎসাহী মেধাবী প্রযুক্তিপ্রেমী ব্যাক্তি হারিয়ে যাচ্ছে । আর চিন্তা নেই, আপনার, আমার আমাদের সকলের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে এসে গেছে টেকশপ (www.techshopbd.com) ।আপনি শুধু প্রযুক্তি নিয়ে চিন্তা করুন, আর ইলেকট্রনিক্সের যাবতীয় উপকরণ এবং যন্ত্রাংশ সংগ্রহের ভার দিয়ে দিন টেকশপের উপর। টেকশপ আপনার প্রয়োজনীয় উপকরণ পৌঁছে দেবে আপনার ঠিকানায়। ইলেকট্রনিক্সের যেকোনো ধরণের প্রজেক্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে, আপনাকে টেনশন মুক্ত করাই টেকশপের কাজ, আর আপনি পাবেন পর্যাপ্ত সময় ইলেকট্রনিক্স নিয়ে কাজ করার। আসুন প্রথমেই জেনে নেয়া যাক টেকশপ সম্পর্কে।

টেকশপ কি?

টেকশপ একটি বিশেষ ধরণের অনলাইন শপ, যেখান থেকে আপনি, ইলেকট্রনিক্স প্রজেক্টের জন্য আপনার প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ নির্বাচন করে, অনলাইনে অর্ডার করার মাধ্যমে ঘরে বসেই, সুলভ মূল্যে এবং স্বল্প সময়ের মাধ্যে পেতে পারেন। টেকশপ সব সময় গুণগত মানের পণ্য সরবরাহ করে থাকে, তাই আপনি থাকতে পারেন সম্পূর্ণ নিশ্চিন্ত। ইলেকট্রনিক্স উপকরণ, যন্ত্রাংশ, কিট, মডিউল, লার্নিং কিট ইত্যাদি আমদানী করার জন্য তাদের রয়েছে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সাপ্লায়ারস্।

প্রোডাক্ট ক্যাটেগরি

http://www.techshopbd.com তে গেলেই আপনি বামদিকে বিভিন্ন প্রোডাক্টের ক্যাটেগরি সমূহ দেখতে পাবেন। এখান থেকে আপনি সহজেই আপনার কাঙ্ক্ষিত উপকরণ বা যন্ত্রাংশ সমূহ খুঁজে নিতে পারবেন। কিছু কিছু ক্যাটেগরিতে সাব ক্যাটেগরি রয়েছে, এক্ষেত্রে ক্যাটেগরির নামের পাশের (+) চিহ্নটিতে ক্লিক করলে সাব ক্যাটেগরি সমূহ দেখতে পাবেন। টেকশপের ক্যাটেগরি সমূহ

টেকশপের প্রতিটা প্রডাক্টের সাথে রয়েছে, প্রডাক্টের বিস্তারিত বর্ণনা, স্পেসিফিকেশন, ডকুমেন্ট, ডাটাশীট, ব্যবহার প্রণালী, সার্কিট ডায়াগ্রাম, যা আপনাকে প্রোডাক্টটি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে সহযোগিতা করবে। এছাড়া টেকশপের রয়েছে মাইক্রোকন্ট্রোলার, আরডুইনো, রোবটিক্সের উপর প্রজেক্ট ভিত্তিক টিউটোরিয়ালের সম্ভার, যা দেখে আপনি সহজেই মাইক্রোকন্ট্রোলার, আরডুইনো, রোবটিক্সের সাধারণ বিষয়গুলো শিখে প্রজেক্ট গুলো তৈরি করতে পারবেন।

রানিং স্পেশাল অফার

টেকশপের হোমপেজের মেনুবার থেকে Special Offers  এ ক্লিক করলে রানিং স্পেশাল আফার সমূহ দেখতে পাবেন।  বর্তমানে প্রায় ১৫০ টিরও বেশি প্রোডাক্টে স্পেশাল অফার চলছে। আশা করছি আপনার প্রয়োজনীয় প্রোডাক্টটিও এই তালিকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। তাই আকর্ষণীয় দামে আপনার প্রডাক্টটি পাওয়ার জন্য আজই অর্ডার করুন।

ক্যাশ অন ডেলিভারি সার্ভিস

টেকশপের রয়েছে ক্যাশ অন ডেলিভারি সার্ভিসের সুবিধা। তাই অনলাইনে অর্ডার করুন আর চিন্তামুক্ত থাকুন। আপনার কাংক্ষিত পণ্য হাতে পাওয়ার পর মূল্য পরিশোধ করুন।

শপ বাই সাপ্লায়ারস

টেকশপের হোম পেজের শপ বাই ক্যাটেগরী মেনুর ঠিক নিচেই রয়েছে শপ বাই সাপ্লায়ারস মেনু, যেখানে টেকশপের আন্তর্জাতিক সাপ্লায়ারস্ কোম্পানীর লোগো সমূহ সাজানো রয়েছে।
আপনি এখান থেকে কোন বিশেষ কোম্পানীর লোগোতে ক্লিক করলে ঐ কোম্পানীর কি কি প্রোডাক্ট টেকশপে রয়েছেন তা দেখতে পাবেন। এখান থেকেও আপনার কাঙ্ক্ষিত প্রোডাক্ট সমূহ অর্ডার করতে পারবেন।

ছবিতে sparkfun এর কি কি প্রোডাক্ট টেকশপে রয়েছেন তা দেখানো হয়েছে।

বাই প্রডাক্ট ফ্রম ইন্টারন্যাশনাল সাইট

আপনি ইচ্ছা করলে টেকশপের আন্তর্জাতিক সাপ্লায়ারস্ যেমন  sparkfun, hobbyking, seeedstudio, pololu-usa, wavesharethinnkware , rs-com-uk  এবং dfrobot-china এর ওয়েব সাইট থেকে যেকোনো পণ্য পছন্দ করে টেকশপ এর মাধ্যমে পণ্যটি সংগ্রহ করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে প্রথমে আপনার প্রয়োজনীয় প্রডাক্ট সমূহ নির্বাচন করুন, এরপর  http://www.techshopbd.com/sourcing-international-products থেকে ফর্মটি পূরণ করুন। প্রয়োজনে টেকশপের হেল্প লাইনে যোগাযোগ করুন।

প্রোডাক্ট বাই মার্কেটপ্লেস

টেকশপে রয়েছে বাংলাদেশে তৈরি বেশ কিছু  প্রোডাক্ট যেমন মাইক্রোকন্ট্রোলার প্রোগ্রামার, ডেভলপমেন্ট বোর্ড, ব্রেকআউটবোর্ড ইত্যাদি। এগুলো আপনারা প্রোডাক্ট বাই মার্কেটপ্লেস পেজ থেকে খুজে পাবেন। পেজটির লিংক http://www.techshopbd.com/supplier-lists/marketplace-bangladesh 
আপনি ইচ্ছা করলে আপনার নিজের ডেভলপ করা কোন মডিউল ,ব্রেকআউট বোর্ড  বা প্রোগ্রামার টেকশপের মাধ্যমে বিক্রয় করতে পারেন। এজন্য আপনাকে আপনার প্রডাক্টের বিবরণ ও ছবি সহ http://www.techshopbd.com/marketplace-product-form লিংক থেকে ফরমটি পূরণ করতে হবে।

পি সি বি তৈরি

আপনার প্রজেক্টের জন্য পি সি বি তৈরি করা দরকার। চিন্তা কি http://www.techshopbd.com/pcb-specification থেকে লে-আউট তৈরির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিয়ম কানুন জেনে নিন ।
এরপর Protel,Proteus,Eagle,PCB,FreePCB,KiCAD,Orcad,PCad,Target,Boardmaker,Circuit Maker,WinBoard অথবা এ ধরণের কোনো সফটওয়্যার ব্যবহার করে লে-আউট তৈরি করে http://www.techshopbd.com/pcb-specification পেজের ফরমটিতে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে পাঠিয়ে দিন টেকশপে।

পেমেন্ট মেথড

আপনি টেকশপ থেকে পণ্য কেনার জন্য  BKash, DBBL Nexus Card, অথবা ক্যাশ অন ডেলিভারী এই তিনটি পদ্ধতির মধ্য যেকোনোটি ব্যবহার  করতে পারেন। বিকাশে পেমেন্ট করার জন্য নাম্বারটি হচ্ছে 01841300401 ।

টেকশপে পণ্য অর্ডার করার নিয়ম জেনে নিন

প্রথমে http://www.techshopbd.com/user-registration লিংক থেকে রেজিস্ট্রেশন করুন। এরপর আপনার প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট সমূহ এক এক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী নির্বাচন করে  Add to cart বাটনে ক্লিক করুন।

আপনার  প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট সমূহ নির্বাচন করা শেষ হলে ডান দিকে উপরে কর্ণারের দিকের  Checkout now বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে Checkout পেজটি দেখতে পাবেন।

যদি আপনার নির্বাচন করা প্রোডাক্ট গুলো সঠিক মনে করেন তাহলে নিচের Checkout বাটনে ক্লিক করুন, অথবা আপনি প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করে Checkout বাটনে ক্লিক করতে পারেন অথবা আরো প্রোডাক্ট যুক্ত করার জন্য Continue Shopping বাটনে ক্লিক করতে পারেন। Checkout করলে আপনার অর্ডারটি সঠিকভাবে সাবমিট হবে এবং আপনার সেলফোনে একটা কনফার্মেশন ম্যাসেজ যাবে।
আমাদের সকল সমস্যার সমাধানের জন্য টেকশপ আমাদের পাশে আছে। আর চিন্তা কি, আসুন আমরা ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি নিয়ে নতুনকরে কাজ শুরু করি। আমাদের দেশীয়

কম্পিউটার সাইন্স পড়াশোনা [পর্ব-০৮] :: Data Structures in Java সম্পূর্ণ বইটি PDF। ডাউনলোড করে নিন।

বইঃ Data Structures in Java   (২ টি বই)

লেখকঃ  Robert Lafore-Michael T. Goodrich & Roberto Tamassia


পেজঃ ৮০১+৯২৪
সংস্করণঃ ২য় ও ৪র্থ
সাইজঃ ৪.২+১৫ মেগা

তাহলে  যাদের প্রয়োজন নিচের লিংক থেকে ডাউনলোড করে নিন।

ডাউনলোড বই ১ 


ডাউনলোড বই ২ 


ডাউনলোডের পদ্ধতিঃ
PDF আকারে আপনার কম্পিউটারে OPEN হতে থাকবে; ৫-১০ মিনিট লাগতে পারে।
আপনি সম্পূর্ণ OPEN  হলে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
অথবা,

মাউসের রাইট ক্লিক করে SAVE AS এ ক্লিক করে আপনার PC তে SAVE  করে নিবেন।
ধন্যবাদ। সমস্যা হলে আমাকে কমেন্ট করবেন।

Sunday, April 27, 2014

টাইটেল ট্যাগ টিউটোরিয়াল seo


এটা  খুবই গুরত্বপূর্ন একটা ওয়েব পেজের জন্য।ইউজার এবং সার্চ ইন্জিন উভয়কে এটা বলে দেয় যে পেজের মধ্যে কি আছে অর্থ্যাৎ একটা টাইটেল একটা পেজের সরাংশ।আপনার পেজের টাইটেল হতে হবে এমন যাতে এটা আপনার সাইটের আর অন্য কোন পেজের টাইটেলের সাথে মিলে না যায় অর্থ্যাৎ unique এবং নির্ভূল।সার্চ রেজাল্ট যখন আমরা ব্রাউজারে দেখি তখন পেজ টাইটেল সবার আগে প্রথম লাইনে থাকে।
ইউজার যে কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করবে সেই কিওয়ার্ডটি যদি সার্চ রেজাল্টে বোল্ড করে দেখায় তাও আবার পুরো পেজ টাইটেলটি,তাহলে আপনার সাইটের ট্রাফিক বহুগুন বেড়ে যাবে।পেজ টাইটেল সবসময় এমন দিবেন যেটার সাথে পেজের কনটেন্টের খুব মিল আছে।খুব বড় টাইটেল দেয়া উচিৎ নয় এতে অনেক অপ্রয়োজনীয় শব্দ টাইটেলে চলে আসে আর খুব বড় টাইটেল হলে গুগল এর সম্পূর্ন নয় বরং কিছু অংশ দেখায়।সবচেয়ে ভাল আপনার পেজ টাইটেল হবে ছোট,প্রাসঙ্গিক এবং তথ্যবহুল।

Monday, April 21, 2014

Microsoft Small Basic প্রোগ্রামিং [পর্ব-০৪] :: লুপ ও ব্রাঞ্চিং

আপনাকে বলা হলো ১ থেকে ১০ পর্যন্ত কনসোলে দেখান। তাহলে আপনি কোড লেখা শুরু করবেন যে,
TextWindow.WriteLine(“1”) এভাবে 10 পর্যন্ত। কিন্তু আপনাকে যদি 1 থেকে 100 পর্যন্ত লিখতে বলা হয় তখন কি করবেন??
এই কাজগুলো আপনি মাত্র তিন লাইনের কোড দিয়েই করতে পারবেন। কারণ প্রতিটি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের মতোই Microsoft Small Basic এ লুপ আছে। লুপ দিয়ে সহজেই একাধিক স্টেটমেন্ট লেখা যায়। MS Small Basic এ দুধরনের লুপ আছে। For লুপ এবং While লুপ। আমরা For লুপের ব্যাবহার নিয়ে আজকের পর্ব শুরু করছি।

For Loop

সাধারনত For.. EndFor লুপ ব্যাবহার করে থাকি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোড এক্সিকিউট করার জন্য। লুপ চালানের জন্য একটি ভেরিয়েবলে সীমা যুক্ত কর দিবো। ভালোভাবে বোঝার জন্য নিচের উদাহরনটি দেখুন।
For a = 1 To 10
TextWindow.WriteLine(a)
EndFor
প্রোগ্রামটি রান করে দেখুন আউটপুটে 1 থেকে 10 দেখতে পারবেন। প্রোগ্রামটি মূলত প্রতিবার এক করে মান বৃদ্ধি করে থাকে। আপনি যদি এক এর পরিবর্তে অন্য হারে মান পরিবর্তন করতে চান তাহলে আপনাকে Step নামক কীওয়ার্ডটি ব্যাবহার করতে হবে। নিচের উদাহরনটি লক্ষ্যনীয়।
For a = 1 To 10 Step 2
TextWindow.WriteLine(a)
EndFor
আউটপুট এরকম আসবেঃ
1
3
5
7
9
এবার চলুন For লুপ দিয়ে একটা নামতা লিখে ফেলি। আমরা 5 এর ঘরের নামতা লিখব।
number = 5
For a = 1 To 10
TextWindow.WriteLine(number + " X " + a + " = " + number * a)
EndFor
প্রোগ্রামটি আসলে কিভাবে কাজ করছে? প্রথমে আমরা number নামক ভেরিয়েবলে আমরা 5 অ্যাসাইন করছি। এরপর আমরা লুপের ভিতর number এর সাথে a গুন করে প্রতি লাইনে দেখাচ্ছি। a এর মান প্রতিবার যেহেতু এক করে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই আমাদের রেজাল্টও প্রতি লাইনে পরিবর্তিত হচ্ছে।

While Loop

While Loop এর Syntax হলোঃ
While (condition)
‘some codes to be executed
EndWhile
আগে একটি উদাহরন তারপরে বিস্তারিত While Loop সম্পর্কে বলছি।
x = 10
While (x <= 100)
TextWindow.WriteLine(x)
x = x + 10
EndWhile
এখন প্রোগ্রামটি কিভাবে কাজ করলো তা জেনে নিই। প্রথমে আমরা x এর মান 10 অ্যাসাইন করলাম। এরপর আমরা while লুপে একটা শর্ত জুড়ে দিলাম যে  যতক্ষন পর্যন্ত x এর মান ১০০ এর সমান বা ছোট থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত লুপের ভিতরের কাজগুলো চলতে থাকবে। এখন লুপের ভিতর প্রথম স্টেটমেন্ট হলো কনসোল উইন্ডোতে x এর মান লেখা অর্থাৎ আউটপুট দেওয়া। এর পর আছে x = x + 10 এর মানে হলো x এর মান ১০ বৃদ্ধি করা। এখন x এর মান হলো ২০ । যেহেতু সে ১০০ এর ছোট তাই স্ক্রীনে x এর নতুন মান ২০ প্রিন্ট করবে। এভাবে ১০০ হওয়া পর্যন্ত লুপ চলতে থাকবে। আমরা বিষয়টাকে নিচের ফ্লো-চার্টের মাধ্যমে দেখাতে পারি।

ব্র্রাঞ্চিং ( Branching )

আপনারা এতোক্ষনে জানেন যে প্রোগ্রাম লাইন বাই লাইন কাজ করে। আপনারা অনেকেই হয়তো প্রোগ্রাম শেষ না করে পূর্বের কোন স্টেটমেন্টে চলে যেতে চান। এজন্য Goto আমরা কীওয়ার্ড ব্যবহার করবো। এর এই Goto কীওয়ার্ড ব্যবহার করে পূর্বে স্টেটমেন্টে ফিরে যাওয়াকে Branching বলে। একটি উদাহরনের মাধ্যমে চলুন বিষয়টি দেখে নিই।
j = 1

start:

TextWindow.WriteLine(j)

j =  j + 1

If j < 10 Then

Goto start

EndIf

এখানে start হলো একটি লেবেল। আমরা বলেছি যদি j এর মান ১০ এর চেয়ে ছোট হয় তাহলে। start এ চলে যাও। লেবেল লেখার নিয়মটি ভালো করে দেখুন। আমরা লেবেলের পর একটি কোলন দিয়েছি।
Goto এর ব্যবাহার আমরা একটি প্রোগ্রামের মেনু তৈরী করে তাতে ফিরে যাওয়ার কাজে লাগাতে পারি। নিচের প্রোগ্রামটি উদাহরনসরূপ দিলাম।
TextWindow.Title = "Multifunction Calculator"
Start:
TextWindow.WriteLine("Enter the number of program you want to run: ")
TextWindow.WriteLine("1. Addition")
TextWindow.WriteLine("2. Subtraction")
TextWindow.WriteLine("3. Exit")
choice = TextWindow.ReadNumber()

If (choice = 1) Then
    TextWindow.WriteLine("Enter a number: ")
    x = TextWindow.ReadNumber()
    TextWindow.WriteLine("Enter another number: ")
    y = TextWindow.ReadNumber()
    ans = x + y
    TextWindow.WriteLine("The sum of entered numbers is " + ans)
    Goto Start
ElseIf (choice = 2) Then
    TextWindow.WriteLine("Enter a number: ")
    x = TextWindow.ReadNumber()
    TextWindow.WriteLine("Enter another number: ")
    y = TextWindow.ReadNumber()
    ans = x- y
    TextWindow.WriteLine("The subtraction of entered numbers is " + ans)
    Goto Start
ElseIf (choice = 3) Then
    TextWindow.WriteLine("Thanks for using this app.")
    'program will end here
Else
    TextWindow.WriteLine("Invalid Number. Try again!")
    Goto Start
EndIf

আজ এতোটুকুই থাক। আগামী পর্বে আমরা সাবরুটিন তৈরী ও একটি গ্রাফিকাল উইন্ডো তৈরী করা শিখবো।

Microsoft Small Basic প্রোগ্রামিং [পর্ব-০৩] :: কন্ডিশনাল স্টেটমেন্ট

Microsoft Small Basic এ প্রোগ্রামিং শিখুন টিউটোরিয়ালের তৃতীয় পর্বে আপনাকে স্বাগতম। আজ আমরা কন্ডিশনাল স্টেটমেন্ট সম্পর্কে জানবো। তবে এর পূর্বে আমি গত পর্বে কিছু বিষয় বাদ দিয়ে গিয়েছিলাম যা আমার জানানো উচিত ছিলো।

স্ট্রিং ইনপুট নেওয়া

আমি গত পর্বেই বলেছিলাম স্ট্রিং হলো একসারি ক্যারেকটার। যেমন আপনার নাম বা যে কোন লেখা। আমরা যে কোন নাম্বার ইনপুট নিয়েছিলাম ReadNumber অপারেশন ব্যাবহার করে। স্ট্রিং ইনপুট নেওয়ার জন্য আমরা শুধুমাত্র Read অপারেশন ব্যাবহার করবো। নিচের উদাহরণটি লক্ষ্য করুন।
TextWindow.WriteLine("Please Enter your Name: ")
name = TextWindow.Read()
TextWindow.WriteLine("Hello " + name +", welcome to the world of programming.")
আপনারা নিচের মতো আউটপুট দেখতে পারবেনঃ

TextWindow এর টাইটেল দেওয়া ও Text রঙ্গীন করা

উপরের প্রোগ্রামটির স্ক্রীনশট দেখুন। আমাদের কনসোল এর টাইটেলবারে ফাইলের লোকেশন দেখাচ্ছে। কিন্তু আমরা আমাদের অ্যাপ্লিকেশনের কাজ অনুযায়ী এর নাম দিতে চাই। যেমন উপরের প্রোগ্রামটার টাইটেল আমরা String Input Example দিতে পারি। এজন্য আমরা TextWindow.Title ব্যবহার করবো। নিচের উদাহরনটি লক্ষ্য করুন।
TextWindow.Title = "String Input Example"
TextWindow.WriteLine("Please Enter your Name: ")
name = TextWindow.Read()
TextWindow.WriteLine("Hello " + name +", welcome to the world of programming.")
Output:

আবার আমরা কনসোলের লেখাগুলোর বর্ণও পরিবর্তন করতে পারি। আপনারা হয়তো সাদা রং দেখতে পছন্দ করবেন না। তাই লেখাগুলোর বর্ণ পরিবর্তন করতে আমরা TextWindow.ForegroundColor প্রোপারটি টি ব্যাবহার করবো। নিচের উদাহরনটি লক্ষ্য করুন।
TextWindow.Title = "Changing Color of TEXT"
TextWindow.ForegroundColor = "green"
TextWindow.WriteLine("This text has GREEN color")
TextWindow.ForegroundColor = "Red"
TextWindow.WriteLine("This Text has RED color")
প্রোগ্রামটি রান করলে আমরা নিচের মতো দেখতে পারবোঃ

আপনাদের সুবিধার্তে আমি Small Basic এ কিছু বৈধ রংয়ের নাম দিচ্ছি।
Black
Blue
Cyan
Gray
Green
Magenta
Red
White
Yellow
DarkBlue
DarkCyan
DarkGray
DarkGreen
DarkMagenta
DarkRed
DarkYellow

কন্ডিশনাল স্টেটমেন্ট

এবার আমি আমার আজকের পর্বের মূল বিষয় কন্ডিশনাল স্টেটমেন্ট সম্পর্কে বর্ণনা করবো। কন্ডিশন এর বাংলা হলো শর্ত। তাই এখানে আমরা শর্ত নিয়েই কাজ করবো। এখন প্রশ্ন শর্ত কি? যেমন আপনাকে শর্ত দেওয়া হলো যে আপনার বয়স ২১ বছর না হলে আপনি বিয়ে করতে পারবেন না। তেমনি প্রোগ্রামেও আপনাকে এরকম শর্ত দেওয়া হবে যে একটা নির্দিষ্ট মান সত্য হলেই শুধুমাত্র তার পরবর্তী কোডগুলো এক্সিকিউট হবে।
MS Small Basic ল্যাংগুয়েজে শর্ত দেওয়ার Syntax বা নিয়ম হলোঃ
If (condition) Then
    'some code goes here
Else
    'some code goes here
End If
চলুন উদাহরনের মাধ্যমে বোঝানো যাক। নিচের প্রোগ্রামটি ইউজার থেকে একটি নাম্বার ইনপুট নিবে। তারপর চেক করে আউটপুট দিবে নাম্বারটি ধনাত্মক নাকি ঋণাত্মক।
TextWindow.WriteLine("Enter a number: ")
x = TextWindow.ReadNumber()
If (x >= 0) Then
    TextWindow.WriteLine("The Number is Positive!")
Else
    TextWindow.WriteLine("The Number is Negative!")
EndIf
উপরের প্রোগ্রামটি কিভাবে কাজ করে তা নিচের ফ্লো চার্টের মাধ্যমে দেখানো যেতে পারে।

আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। এখানে শর্তে আমরা যে অপারেটর ব্যাবহার করেছি তা হলো বড় ও সমান (>= বা Greater Than or Equal). এই অপারেটরকে বলা হয় রিলেশনাল অপারেটর। MS Small Basic এর রিলেশনাল অপারেটর সমূহ হলোঃ
Sign
In Words
=
Equal To
>
Greater Than
<
Less Than
>=
Greater Than or Equal
<=
Less Than or Equal
!=
Not Equal
এখন আমরা যদি একাধিক শর্ত দিতে চাই তাহলে আমাদের Elseif ব্যবাহার করতে হবে। Syntax হবে নিম্নরূপঃ
If (condition Then
    'some code goes here
Elseif(condition) Then
    'some code goes here
Else
    'some code goes here
End If
আমরা ধরে নেই ০ ধনাত্মক বা ঋণাত্মক নয়। উপরের প্রোগ্রামটি শূন্য ইনপুট দিলে বলে যেনো The number is Zero. তাহলে আমাদের প্রোগ্রামটি হবেঃ
TextWindow.WriteLine("Enter a number: ")
x = TextWindow.ReadNumber()
If (x > 0) Then
    TextWindow.WriteLine("The Number is Positive!")
ElseIf (x=0) Then
    TextWindow.WriteLine("The Number is Zer0!")
Else
    TextWindow.WriteLine("The Number is Negative!")
EndIf
আমরা একটি কন্ডিশনাল স্টেটমেন্টের ভিতর আরও কন্ডিশন দিতে পারি। চলুন নিচের প্রোগ্রামটা দেখি।
TextWindow.Title = "Marriage Age Checking"
TextWindow.WriteLine("Enter your Name: ")
name = TextWindow.Read()
TextWindow.WriteLine("Are You Male/Female ? (Enter m or f)")
sex = TextWindow.Read()
If( sex = "m") Then
    TextWindow.WriteLine("Enter your Age: ")
    age = TextWindow.ReadNumber()
    If( age < 21 ) Then
        TextWindow.ForegroundColor = "red"
        TextWindow.WriteLine("Sorry " + name +", you don’t have right to get married.")
    Else
        TextWindow.ForegroundColor = "green"
        TextWindow.WriteLine("Congrats " + name + ", you have the right to get married.")
    EndIf
ElseIf ( sex = "f" ) Then
    age = TextWindow.ReadNumber()
    If( age < 18 ) Then
        TextWindow.ForegroundColor = "red"
        TextWindow.WriteLine("Sorry " + name +", you don’t have right to get married.")
    Else
        TextWindow.ForegroundColor = "green"
        TextWindow.WriteLine("Congrats " + name + ", you have the right to get married.")
    EndIf
Else
    TextWindow.WriteLine("You have entered wrong letter !")
EndIf
বিশাল প্রোগ্রাম তাই না? বাস্তব জীবনের প্রোগ্রাম এর চেয়েও বড় হয়! আচ্ছা আমাকে কি প্রোগ্রামটা ব্যাখ্যা করতে হবে? আশাকরি প্রোগ্রামটা দেখেই বুঝতে পারবেন। যদি বুঝতে না পারেন তাহলে মন্তব্যের ঘর ফাঁকাই থাকে। ওটাতে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। আমি ব্যাখ্যা যুক্ত করে দিবো।
আজ এতোটুকুই থাক। আগামী পর্বে আমরা লুপ শিখবো।

Microsoft Small Basic প্রোগ্রামিং [পর্ব-০২] :: আরও একটু এডভান্স

প্রথম পর্বে আমরা Microsoft Small Basic এর সাহায্যে ছোট একটি Hello World প্রোগ্রাম তৈরী করা শিখেছিলাম। এই পর্বে আমরা আরও অ্যাডভান্সড কিছু বিষয় শিখবো। তো চলুন শুরু করা যাক।
আপনি প্রথম প্রোগ্রামে যখন TextWindow.WriteLine লিখেছিলেন তখন দেখেছিলেন যে নিচের মতো একটি মেনু আপনাকে সাজেশন দিচ্ছিল। এই মেনুকে বলা হয়ে থাকে Intellisense মেনু। যখনি আপনার কাঙ্খিত অপারেশন/অবজেকট/মেথড লিখতে লিখতে সাজেশনে এন্টার  দিবেন তখন  বাকিটুকু অটোমেটিক বসে যাবে।

প্রোগ্রাম এর মূল উদ্দেশ্য কিন্তু গাণিতিক সমস্যার সমাধান করা। অজানা কোন রাশির মান নির্ণয় করা। তাই আমরা চলুন সাধারণ কিছু যোগ বিয়োগের কাজ Microsoft Small Basic এর মাধ্যমে করি।  :)
সাধারণ যে কোন যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ Small Basic এ করা যায়। এজন্য আপনাকে কিছু ভেরিয়েবল নিতে হবে। এখন ভেরিয়েবল কি? ভেরিয়েবল হলো গণিতের ভাষায় চলক। যার মান যে কোন সময় পরিবর্তিত হতে পারে। যেমন আমরা পাটিগণিতে করেছিলামঃ
মনে করি,
পিতার বয়স ‘ক’ বছর।
এখানে ‘ক’ হলো একটি ভেরিয়েবল। কারণ ‘ক’ এর মান আমাদের কাছে অজানা। তাই এতে আমরা যে কোন মান দিতে পারি।
Small Basic প্রোগ্রামিং এ ভেরিয়েবলে সরাসরি মান অ্যাসাইন করা যায়। যেমন ধরুন আমি x, y ও z এই তিনটি ভেরিয়েবল এ যথাক্রমে 3, 5 ও 7 মান অ্যাসাইন করবো। তাহলে আমি প্রোগ্রামে লিখবোঃ
x = 3
y = 5
z = 7
এখন আমি এই তিনটি ভেরিয়েবলের যোগফল বের করতে চাই। কিন্তু এদের যোগফল আমি জানি না। এদের যোগফল জমা রাখার জন্য আমি আরেকটি ভেরিয়েবল নিবো। এই ভেরিয়েবলের নাম দিলাম ans. তাহলে আমরা লিখতে পারি,
ans = a + b + c
অর্থাৎ a , b ও c এর যোগফল ans নামক একটি ভেরিয়েবলে অ্যাসাইন হবে বা জমা হবে।
Note: এখানে একটি বিষয় বলে রাখি আপনি যখনি একটি ভেরিয়েবল নিবেন তখনি তার জন্য আপনার র‍্যামে নির্দিষ্ট পরিমাণ যায়গা বরাদ্দ করা হবে। আসলে ভেরিয়বল হলো আপনার র‍্যামের একটি নির্দিষ্ট যায়গাকে নাম দিয়ে প্রকাশ করা। আর প্রোগ্রামিং এর প্রতিটি লাইনকে এক একটি স্টেটমেন্ট বলা হয়ে থাকে।
এখন আমাদের কাজ হবে এই যোগফলটা স্ক্রিনে দেখানো। মানে আউটপুট হিসেবে দেখানো। তো এজন্য নিচের কোডটুকু লিখুনঃ
x = 3
y = 5
z = 7
ans = x + y + z
TextWindow.WriteLine(ans)
এবার প্রোগ্রামটি রান করে দেখুন। আউটপুট কি দেখতে পারছেন? শুধু 15 তাই না? এর চেয়ে যদি আমাদেরকে The answer is 15 এভাবে দেখাতো তাহলে ভালো হতো না? হ্যাঁ এটা সম্ভব এবং এটা আপনাকে প্রোগ্রামে লিখতে হবে। তাহলে উপরের প্রোগ্রামটা আমরা পুনরায় এভাবে লিখতে পারিঃ
x = 3
y = 5
z = 7
ans = x + y + z
TextWindow.WriteLine("The answer is " + ans)
এবার দেখুন আউটপুট কি আসছে? আমরা যা আশা করেছিলাম ঠিক তাই তাইনা? এবার আপনার কাজ হলো এভাবে বিয়োগ, গুন ও ভাগ করা।
লক্ষনীয়ঃ The answer is হলো একটি স্ট্রিং বা একসারি লেটার। আর যে কোন স্ট্রিংকে ডাবল কোটেশনের মধ্যে রাখতে হয়। এবং ans হলো একটি ভেরিয়েবল মাত্র। তাই এটি কোন স্ট্রিং না। তাই এতে কোন ডাবল কোটেশন দেওয়া হয়নি। আর এটি আউটপুট দেবার জন্য এর পূর্বে + চিহ্ণ বসানে হয়েছে। আমরা যদি একাধিক ভেরিয়েবল আউটপুটে রাখতাম তাহলে আমাদের লাইনটি হতোঃ
TextWindow.WriteLine("The sum of " + x + "," +  y + " and " + z  + " is " + ans)
এবার নিচের প্রোগ্রামটা খেয়াল করুন। আউটপুট কি আসতে পারে তা চিন্তা করে দেখুন।
x = 3
y = 5
y = 7
z = 7
ans = x + y + z
TextWindow.WriteLine("The answer is " + ans)
কি দেখলেন? আউটপুট 17 আসলো তাইনা? কিন্তু কেনো? আমরা y এর মান দুইবার অ্যাসাইন করেছি। একবার ৫ এবং আরেকবার ৭। সর্বশেষ যে মানটি অ্যসাইন করা হবে সেটিই গ্রহণযোগ্য হবে। কারণ আমি পূর্বেই বলেছি ভেরিয়েবল হলো মেমোরির একটি যায়গা। যে যায়গায় আপনার দেওয়া মানটি জমা হয়ে যায়। আপনি যদি পরবর্তী লাইনে মান পরিবর্তন করে থাকেন তাহলে ভেরিয়েবলটির মান নতুন দেওয়া মানটি হবে। এটি ভালোভাবে বোঝার জন্য নিচের উদাহরণটি দেখুন।
x = 3
y = 5
z = 7
ans = x + y + z
TextWindow.WriteLine("The first answer is " + ans)
x = 3
y = 7
z = 7
ans = x + y + z
TextWindow.WriteLine("The second answer is " + ans)
এখানে প্রথম আউটপুট লেখার সময় y এর মান ৫ ছিলো তাই আউটপুট ১৫ এসেছে। আর দ্বিতীয় লেখাটি আউটপুট করার সময় y এর মান ছিলো । তাই আউটপুটও ১৭ হয়েছে।
এতোক্ষন আমরা যে প্রোগ্রামগুলো করলাম এগুলোতে x , y , z এর মান ফিক্সড ছিলো। কিন্তু প্রোগ্রামগুলো ইউজার ডিফাইন্ড করলে ভালো হয় না? এখন আমরা এটাই করতে যাবো। আমরা চাই কম্পিউটার ব্যাবহারকারীরা  ইনপুট দিবে আর  কম্পিউটার উত্তর দেখাবে। এজন্য আমরা TextWindow এর আরেকটি অপারেশন শিখবো। এই অপারেশনটির নাম হলো ReadNumber() . এই অপারেশনটির মাধ্যমে যে কোন নাম্বার ইনপুট নেওয়া যাবে।
TextWindow.WriteLine("Enter a number: ")
x = TextWindow.ReadNumber()
TextWindow.WriteLine("Enter another number: ")
y = TextWindow.ReadNumber()
ans = x + y
TextWindow.WriteLine("The sum of entered number is : " + ans)
বাহ। আপনি তো একটি ছোট যোগ করার ক্যালকুলেটর বানিয়ে ফেললেন তাইনা? এবার আপনার কাজ হবে একইভাবে একটি বিয়োগ, গুন ও ভাগ করার ক্যালকুলেটর তৈরী করা।
আপনাদের প্রতি বিশেষ অনুরোধঃ প্রতিটি প্রোগ্রাম আপনি নিজে লিখে রান করবেন। কখনও কপি পেস্ট করবেন না। প্রতিটি প্রোগ্রাম নতুন ফাইলে করবেন।
আজ এতোটুকুই থাক। আগামী পর্বে আরও নতুন বিষয় নিয়ে হাজির হবো ইনশাল্লাহ।

Microsoft Small Basic প্রোগ্রামিং [পর্ব-০১] :: প্রাথমিক আলোচনা

সবাইকে স্বাগতম জানিয়ে আমি Microsoft Small Basic দিয়ে প্রোগ্রামিং করার ধারাবাহিক পোস্ট  শুরু করতে যাচ্ছি। আশাকরি পোস্টটি নিয়মিত আপনাদের উপহার দিতে পারবো।

 

শুরুর কথা

কম্পিউটার প্রোগ্রামিং কি? কম্পিউটারকে এক বা একাধিক নির্দেশনা দেওয়াকে প্রোগ্রাম বলা হয়। আর যে ভাষায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয় সেই ভাষাকে বলা হয় প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ। আমরা যে ভাষায় কথা বলি সে ভাষা কিন্তু কম্পিউটার বুঝতে পারে না। তাই কম্পিউটারের ভাষায় কিন্তু আমাদের নির্দেশনা দেওয়া উচিত। কিন্তু কম্পিউটারের ভাষা কি জানেন? শুধু 0 ও 1 দিয়ে হাবিজাবি সব লেখা। এই সকল 0 ও 1 দিয়ে নির্দেশনা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাইতো কম্পিউটার ইন্জিনিয়াররা , বিশ্বের বাঘা বাঘা প্রোগ্রামাররা আমাদের প্রোগ্রাম লেখাটাকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। আমরা এখন যে প্রোগ্রামগুলো লিখি সেগুলো অনেকটাই ইংরেজি ভাষার মতো। এই ইংরেজি ভাষার মতো প্রোগ্রামগুলোকে বলা হয় High Level Language. এখন আমাদের জন্য বড় বড় প্রোগ্রামাররা Compiler নামক একটা সফটওয়্যার তৈরী করে দিয়েছেন। যা দিয়ে আমরা যে High Level Language এ প্রোগ্রামগুলো লিখি তা কম্পিউটারের ভাষায় রূপান্তর করে ফেলে। কিছু High Level Language হলো Java, C++, PHP, BASIC ইত্যাদি। আমরা কিছুক্ষনের মধ্যে যে প্রেগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শিখতে যাচ্ছি তাও হলো একটি High Level Programming Language. এই ভাষাটির নাম হলো Small Basic.
Small Basic ভাষাটি তৈরী করা হয়েছে মূলত যারা কখনও প্রোগ্রামিং করেনি তাদের জন্য। এটি ছোট বাচ্চাদের জন্য অনেক উপযোগী একটি ভাষা। এছাড়াও বড়রা যারা কখনও প্রোগ্রামিং করেননি তারাও এই ভাষাটি শিখে অনেক মজা পাবেন। সব প্রোগ্রামিং এর মূল জিনিস কিন্তু একই। তাই এই আপনি এই প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজটি শিখলে অন্য যে কোন ভাষা খুব সহজেই শিখতে পারবেন।

Microsoft Small Basic ডাউনলোড

Small Basic এ কোডিং করার জন্য আমাদের একটি Environment দরকার। উইন্ডোজে এই এনভায়রনমেন্টের নাম হলো Microsoft Small Basic. নিচের বাটনটিতে ক্লিক করে আপনি এখনি এখান থেকে  Microsoft Small Basic সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন। ফাইল সাইজ মাত্র ৬ মেগাবাইট।

ইন্সটলেশন ও এনভায়রনমেন্ট পরিচিতি

আশাকরি এতক্ষনে আপনার সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করা শেষ। তো এবার যথারিতী সাধারণ নিয়মেই ইন্সটল করে ফেলুন। ইন্সটল করা হয়ে গেলে Microsoft Small Basic আপনি Start > All Programs > Small Basic থেকে চালু করুন। আর আপনি যদি Windows 8 ব্যবহার করে থাকেন তাহলে Start Screen এই আপনি Microsoft Small Basic এর আইকন দেখতে পারবেন। তো Microsoft Small Basic চালু করলে আপনি নিচের মতো  দেখতে পারবেন।

এখানে আপনাদের সুবিধার্তে আমি অংশগুলো চিহ্নিত করে দিচ্ছি।
১ নম্বর অংশটি হলো টুলবার। এখানে আপনি আপনার করা কোডগুলো সেভ / ওপেন / কপি / পেস্ট / রান করতে পারবেন।
২ নম্বর চিহ্নিত অংশটি হলো এডিটর। এই এডিটরে আপনি আপনার মূল প্রোগ্রামিং কোডগুলো লিখবেন।
৩ নম্বর চিহ্নিত অংশটি হলো সারফেস ও সাইডবার। সারফেসে একাধিক এডিটর থাকতে পারে। এবং সাইডবারে আপনি কোড সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য দেখতে পারবেন।

প্রথম প্রোগ্রাম

দেরি না করে চলুন আমরা আমাদের তৈরী প্রথম প্রোগ্রামটি লিখে ফেলি। পৃথিবীর সবাই মূলত Hello World লিখেই প্রোগ্রাম শুরু করে। আমরাও তাই করবো। প্রথমেই আপনি নিচের কোডটুক এডিটরে লিখে ফেলুন।
TextWindow.WriteLine("Hello World")
এবার সেভ  করে নিন HelloWorld নামে। সেভ করা হয়ে গেলে বা কোড লিখলে আপনি টেক্সট এডিটরটি ঠিক নিচের মতো দেখতে পারবেন।

এবার আপনি টুলবার থেকে Run বাটনে ক্লিক করুন। অথবা কীবোর্ডের F5 বাটনটি চেপে আপনার লেখা প্রথম প্রোগ্রামটি রান করুন। আপনি সঠিকভালে লিখে থাকলে নিচের মতো একটি কালো উইন্ডোতে Hello World লেখাটি দেখতে পারবেন।

উপরের মতো দেখতে পেরেছেন কি? তাহলে আপনাকে অভিনন্দন। এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা শুরু করুন। কারণ আপনি আপনার প্রথম প্রোগ্রামটি সফলভাবে লিখে রান করেছেন। আর হ্যাঁ আমাকেও ইমেইলের মাধ্যমে মিষ্টি পাঠাতে ভুলবেন না। ;-)
এবার প্রোগ্রামটি ক্লোস করে দিন।

প্রথম প্রোগ্রামের ব্যাখ্যা

আপনি তো প্রোগ্রাম লেখা ইতমধ্যে শিখে গেলেন তাইনা? এবার শুধুই জানা দরকার আসলে আমরা কি করলাম। প্রথমেই আমরা লিখেছি TextWindow এর মাধ্যমে আমরা Text Window কে কল করলাম। এখানে TextWindow কে সাধারনত কনসোল বলা হয়ে থাকে। আমরা যে কালো স্ক্রিনে Hello World লেখা দেখতে পেরেছি সেটাকেই TextWindow বা Console বলে। এখানে TextWindow হলো একটি অবজেক্ট। এখন আপনার মাথায় প্রশ্ন আসতে পারে অবজেক্ট কি?
আমাদের চারপাশের যে কোন জিনিসকেই আমরা অবজেক্ট বলতে পারি। আমি ধরে নিচ্ছি আপনিও আমার মতো একটি ল্যাপটপে প্রোগ্রাম লিখতেছেন। এই ল্যাপটপ হলো একটি অবজেক্ট। এখন দেখে নেই এই ল্যাপটপ কি করতে পারে?
  1. হিসাব করতে পারে
  2. গান শোনাতে পারে
  3. ভিডিও দেখাতে পারে , ইত্যাদি।
এই কাজগুলো হলো ল্যাপটপ নামক অবজেক্টটির কাজ বা Operation.
ঠিক এরকম TextWindow এরও কিছু অপারেশন আছে। এরকম একটি অপারেশন হলো WriteLine(). এই WriteLine অপারেশনের মাধ্যমে আমরা যেকোন লেখা টেক্সট উইন্ডো বা কনসোলে দেখতে পারবো। একটা অবজেক্টের পর . (ডট) চিহ্ন দিয়ে আমরা তার অপারেশন লিখব।  WriteLine এর সাথে একজোড়া প্রথম বন্ধনীর মধ্যে ডাবল কোটেশন চিহ্ণের মধ্যে আমরা যাই লিখবো তাই আমরা আউটপুট দেখতে পারবো। এখানে আমরা WriteLine(“Hello World”) লিখেছি। তাই আমাদের স্ক্রীনে Hello World লেখাটি এসেছে। এখন যদি আমরা লিখিঃ
TextWindow.WriteLine("Hello Techtunes, I am a programmer.")
তাহলে আমরা কি দেখতে পারবো?? অবশ্যই সেটা কমেন্টে জানাবেন।
আজ এতোটুকুই থাক। আগামী পর্বে আমরা আরও অনেক কিছু শিখবো। এবং প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে অনেক মজা করবে। আল্লাহ হাফেজ।

“ওরাকল ও ডেভেলপার” ইঞ্জিনিয়ার [পর্ব-২] :: প্রাথমিক আলোচনা ও নীতিমালা

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম। বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন?আমি ভাল নাই,আগের টিউন টি রাতে লিখছিলাম এতে ঠান্ডা ধরছে খুবই অসুস্থ । আপনাদের আগ্রহ দেখে অসুস্থ শরীরে বসে গেলাম লিখতে । জানিনা ১ম র্পব আপনাদের কেমন লেগেছে ? আশা করি কিছু হলেও শিখেছেন.আজ শুধু বক বক করব । Internetএ অনেক ঘাটা ঘাটিঁ করে দেখলাম Oracle সর্ম্পকে জানতে কিন্তু তেমন পেলাম না ।এখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি সোহাগ বিশাল ডেটাবেজ(তথ্য ভান্ডার)সিংহের মত রাজত্র করতে হাজির হয়েছি ওরাকল উপর সর্ম্পুন কোর্স নিয়ে । বাকি টা আল্লাহ্ হাতে ।আমার টিউন থেকে যদি ১ জন হলেও ওরাকল ইঞ্জিনিয়িার হতে পারে তাহলে আমি সার্থক হব । এই আশা রেখে আজকের পর্ব শুরু করছি
ছোট মুখে বড় কথা বলছি আমাকে ক্ষমা করবেন । ওরাকল ইঞ্জিনিয়িার  হতে হলে আপনাকে অনেক কিছু ছাড়তে হবে এবং যোগ করতে হবে
  • অলস্যতাকে বিদায় করে নতুন করে কঠোর পরিশ্রম করার প্রস্তুতি নিন
  • অনেক কাজের মধ্যে ১টি কাজ স্থির করুন--হতে পারে ওরাকল বা অন্য বিষয়যাচাই করে দেখবেন যে বিষয় প্রতি আগ্রহ জন্মায়
  • চ‌্যালেন্জ গ্রহন করার প্রস্তুতি নিন 
  • এখন থেকে নিজেকে ১লক্ষ লোকের থেকে আলাদা ভাবুন -এটি কেন বলছি পরে বলব
উপরের কথা গুলো শুধুমাত্র ওরাকল ইঞ্জিনিয়িার যারা হতে আগ্রহি তাদের জন‌্য । বাকীরা শুধু পড়ে যান
যদি আপনি সত্যিই ওরাকল ইঞ্জিনিয়িার হতে চান,তাহলে আপনাকে"১০০০ কিঃমি পায়ে হেঁটে যাওয়ার প্রস্তুতি নিন" কথাটি বলছি এই জন্য আপনাকে এখানে সাহায্য করার বা পাওয়ার মত আশেপাশে কেউ নেই ।আপনাকে একাই হেঁটে গন্ত্যবে পেীছাঁতে হবে আর যাওয়ার জন্য সাহায্য করবে বই আর টিপস এন্ড ট্রিকস । যদিও ওরাকলের কোর্স গুটি কয়েকটি প্রতিষ্ঠান করায় কিন্তু টাকা অনেক বেশি ভয় পেয়ে যাবেন তাই বলছি না । যদি পেীছেঁ যেতে পারেন আপনাকে আর পিছনের দিকে তাকাতে হবে না । ভবিষ্যৎ জীবন সুখে কাটাতে পারবনে । ফুলের বাগানের মত সুগন্ধ চারিদিকে ছডিয়ে পড়বে

আমি যে ভাবে আপনাদের জন্য কোর্স সাজিয়েছি


  • প্রতি টিউন এ ২-৩টি/Program উপর  Topics  থাকবে ।
  • Topics এর বিশ্লেষন থাকবে ।
  • কি শিখেছেন সংক্ষিপ্ত(সারসংক্ষেপ)আঁকারে মূলায়ন করব।
  • প্রশ্ন থাকবে নিয়মিত । উত্তর দিতে হবে আপনাদেরকে । আগে যে উত্তর দিবে তার নাম প্রকাশ করা হবে ।
  • প্রতি ৫ টিউন এ ১টি করে পরীক্ষা নিব ।
  • প্রতি সপ্তাহে ২টি টিউন থাকবে ।
এটি সর্ম্পুন নির্ভর করবে আপনাদের আগ্রাহর উপর

আপনাদের কাজ কী ?


  • প্রথমে আপনাদেরকে অবশ্যই নাম ও ঠিকানা আমার কাছে পাঠাতে হবে । আমি লিষ্ট তৈরী করব পরের টিউন এ প্রকাশ করা হবে (EMAIL:RAHIMUDDIN2012@GMAIL.COM OR FACEBOOK :SHOHAG CID ) এই ঠিকানায় ।
  • ৬ মাস-১ বছর এর জন টার্গেট করুন ।
  • ৫০ টাকা দিয়ে থাতা কিনুন এবং হ্যান্ডনোট লেখার চেষ্টা করুন ।
  • আমার মত ছোট প্যাড পকেটে রাখবেন । Importent কোন তথ্য পেলে নোট করুন ।
  • প্রতিদিন ১-২ ঘন্টা সময় বের করুন ওরাকলের জন্য ।
  • যে টিউন দিব শুধুমাত্র ঐ অধ‌্যায় নিয়ে গবেষনা করুন   ঐ সর্ম্পকে আরো তথ্য সংগ্রহ করুন ।
  • অলস্যতা ত্যাগের জন্য খুব ভোরে উঠার চেষ্টা করুন । সম্ভব হলে ফজর নামাজ পড়ার  ‌অভ্যাস করুন ও ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন ।
  • ইংরেজী ভাল ভাবে শেখার চেষ্টা করুন । প্রতিদিন ৫টা বাক্য শিখুন
উপরের তথ্য গুলো আপনি মেনে চলতে পারেন তাহলে আগামি ২০১৪-১৫ সালের মধ্যে আপনি হতে পারেন "ওরাকল ও ডেভেলপার" ইঞ্জিনিয়িার ইনশাল্লাহ্ আর এই জন‌্য আল্লাহ্ র সাহায্য চাইবেন । সম্ভব হলে সপ্তাহে ৩০ মিনিট একান্ত ভাবে আল্লাহকে ডাকুন ।

আজকে আমরা শিখব ও জানব

  1. ওরাকল কী ?কোথায় কোথায় এর ব্যবহার করা হয়
  2. কাদের জন্য ওরাকল এবং কারা শিখতে পারবে,শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটুকু লাগবে ?
  3. শিখলে চাকুরি ক্ষেত্র কেমন ?
চলুন জেনে আসি

প্রশ্ন : ওরাকল কী ?কোথায় কোথায় এর ব্যবহার করা হয়


উত্তর : সংক্ষেপে বলি ওরাকল হচ্ছে ডাটাবেজ সফটওয়্যার এটি তৈরী করা হয়েছে ডেটা সংরক্ষন  ও নিরাপত্তা বিধানের করার জন্য ।  । পৃথিবীতে বর্তমানে  একমাত্র ওরাকলই ডেটাবেজ সফটওয়্যার নিমার্তা কোম্পানী । ওরাকল কোম্পানীর প্রোগ্রাম সবর্ত্র ‌ব্যবহার হচ্ছে এবং একটি শক্তিশালী ডেটাবেজ প্রোগ্রাম হিসাবে সবর্ত্র ব্যবহার হচ্ছে। । ORACLE এ RDBMS(RELATIONAL DATABASE MANAGEMENT SYSTEM) support করে বর্তমানে ওরাকলের ১২সি ভার্সন বাজারে আসছে
  • Oracle zero % data loss.
  • User friendly
  • Oracle যেকোন Platform এ সম্বব // Window, Linux
ব্যবহার ক্ষেত্র: সরকারী- বেসরকারী ব্যাংক,বিভিন্ন শিন্প কলকারখানা,গার্মেন্ট-ফ্যাক্টরি,মোবাইল অপাটের ইত‌্যাদি

প্রশ্ন : কাদের জন্য ওরাকল এবং কারা শিখতে পারবে,শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটুকু লাগবে ?


উত্তর : সবার জন‌্য ওরাকল ?ওরাকল কাজ সবাই শিখতে পারবে ..চাকরিতে তারা পড়ালেখার সার্টিফিকেট দেখে না তারা আপনার কাছে চাইবে শুধু কাজ,,ভেন্ডর সার্টিফিকেট নিতে পারলে ত কথাই নাই

প্রশ্ন :শিখলে চাকুরি ক্ষেত্র কেমন ?

যেহেতু অনেক বড় ধরনের ব্যাপার-সেপার //চাকুরীর ক্ষেত্র এখন অনেকটাই খালি এই কারণে প্রথমে বলেছি .নিজেকে ১লক্ষ লোকের মধ্যে আলাধা ভাবুন .ভাল কাজ জানেন তাহলে প্রতিমাসে ১লক্ষ-২.৫লক্ষ টাকা ইনকাম করা বেপার না  ।এক্ষেতে আপনাকে ভেন্ডর সার্টিফিকেট অর্জন করতে হবে ।
আজ আর পারবো না । সবাই ঘুমাচ্ছে আমি শুধু জেগে জেগে আপনাদের জন্য টিউন তৈরী করছি এখন রাত ৪:১২ মিনিট একটু পরে ফজরের আযান দিবে ..এখানে সর্ম্পুন লেখা আমি লিখেছি কোথাও থেকে কপি পেষ্ট করি নাই । ভুল করে থাকলে ক্ষমা করে দিবেন এবং ভুল ধরে দিবেন আমি অন্যদের মত সাজিয়ে লিখতে পারি না । আপনাদের মতামতের ভিত্তিতে আগামি টিউন হবে..অবশ্যই কেমন লাগছে বলবেন । সবাইকে ধন্যবাদ

“ওরাকল ও ডেভেলপার” ইঞ্জিনিয়ার [পর্ব-১] :: যারা হতে চান তাদের জন্য এই পোস্ট

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম। বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আমি আপনাদের দোয়াই ভালোই আছি.আমি সম্পূর্ণ টেকটিউন নতুন । আমার প্রথম পোষ্ট যদি ভুল করে থাকি ক্ষমা করবেন । হাজির হয়েছি আপনাদের কাছে আমি মো.রহিম উদ্দিন সোহাগ  "ওরাকল ও ডেভেলপার  " নিয়ে । আমি 'ফেণী পলিটেকনিক ইন্সিটিটিউট'এ কম্পিউটার টেকনলজি  "ডিপ্লোমা-ইন- ইঞ্জিনিয়ারিং" ৪বর্ষের (৭ষ্ট সেমিষ্টার)ছাত্র । আমার স্বপন আমি ওরাকল ইঞ্জিনিয়ার হব এবং তার জন্য আমি কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি কারন এর ভবিষ্যৎ অবশ্যই ভাল । আমাকে ওরাকল সর্ম্পকে বলেছেন আমার মাছুম আংকেল তার অনুপ্রেরনায় এই পথে আসা আর স্যার হিসাবে আমাকে সার্পোট দিচ্ছেন কম্পিউটার টেকনোলজি বিভগীয় প্রধান আমার প্রিয় স্যার "Engr.S.M.Hamidul Hoque"( Ms in Electronics & Telecommunication Engineering,B.Sc.In Computer Science & engineering ) এবং টেকটিউন এ টিউন দিতে পুরো সাহায্য করেছেন "টিউনার sohag" আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ । আমি সব সময় ব্যতিক্রম কিছু করার চেষ্টা করি । ধাপে ধাপে আমরা ওরাকল শিখব । চলুন শুরু করি
বর্তমান বিশ্বে তথ্যের অবাধ প্রবাহ সব কিছুতেই ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে । বিশাল তথ্য ভান্ডারের এর নিকট আমরা ক্রমশ নির্ভশীল হয়ে পড়েছি । আর একটি শক্তিশালী ডেটাবেজ তড়িৎ ভূমিকা রাখে । ওরাকল ডেটাবেজ বিশ্বের একটি অপ্রতিদ্বন্দ্বী ডেটাবেজ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে । তাছাড়া এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী
১ম পর্বে আমরা প্রাথমিক ভাবে জানবো
  • ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে?
ডেটাবেজ ভূমিকা

ডেটা কী :
DATA শব্দের অর্থ হচ্ছে তথ্যের উপাদান (an item of information)। তথ‌‌্যের অন্তর্ভুক্ত ক্ষুদ্রতম অংশ সমুহ হচ্ছে ডেটা বা উপাত্ত যেমন : প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের পে-রোল তৈরী করার জন‌্য নাম,পদবি,কোড নং ,মূল বেতন ইত্যাদি । ডেটা বিভিন্ন প্রতীক ঃ অ ,ক,A,B,1,2 ইত্যাদি অথবা কোন ছবি যেমন: চন্দ্র,সূর্য,গাড়ি অন্য যেকোন কিছু হতে পারে
তথ্য কী:
সরবরাহকৃত ডেটা থেকে প্রক্রিয়ার পর নির্দিষ্ট চাহিদার প্রেক্ষিতে সুশৃংখল যে ফলাফল পাওয়া যায় তাকেই বলা হয় তথ্য বা information । যেমস: নম্বর ভিত্তিক ফলাফল, ছবি, রির্পোট, গবেষণার ফলাফল ইত্যাদি
ডেটাবেজ কী:
Data অর্থ হচ্ছে তথ্য বা উপাত্ত আর  Base অর্থ হচ্ছে ঘাটি বা সমাবেস । ডেটাবেজ শব্দের অর্থ হচ্ছে কোন বিষয় উপর ব্যাপক তথ্য বা উপাত্তরে সমাবেশ । উদাহরণ হিসাবে আমরা দিতে পারি "ভোটার তালিকায়  সংরক্ষতি ভোটারদের তথ্যসমুহ ,কোন কোম্পানির কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ফাইলে রেকর্ড সংরক্ষন করা ইত্যাদি  । আর উক্ত ডেটা টেবিলের সমন্বয়ে গঠিত কিন্তু বর্তমানে ডেটাবেজ ধারনা অনেক ব্যাপকতা লাভ করছে এখন ডেটাবেজ এর আওতা এক বা একাধিক ডেটা টেবিল,কুয়েরি,ফর্ম,রির্পোট.মডিউল ইত্যাদি ফাইল থাকতে পারে। কোন ডেটাবেজ এ এক বা একাধিক টেবিল থাকতে পারে
ডেটাবেজ এর বিভিন্ন উপাদান :
কম্পিউটারে ডেটা একটি নিদির্ষ্ট ধারা অনুসারে থাকে প্রথম ক্ষুদ্রতম একক হল
  • বিট( bit ):  ১টি ডেটার ক্ষুদ্রতম যে অংশ একটি কম্পিউার ব্যবহার করে তাকে বিট বলে যেমন: ০,১ এগুল বিট
  • বাইট(Byte):  ৮টি বিট নিয়ে ১বাইট গঠিত হয় : ১বাইট নিয়ে ১টি অক্ষর গঠিত হয়,নম্বর বা প্রতিক বুঝানো হয়
  • ফিল্ড(Field): একাধিক অক্ষর সমন্বয় গঠিত হয় ১টি শব্দ বা সংখ্যা একে ফিল্ড বলে । যেমন: কোন ব্যক্তির নাম বা বয়স ফিল্ড হতে পারে
  • রেকর্ড(Record): পরস্পর সম্পর্ক যুক্ত একগুচ্ছ ফাইলকে রেকর্ড বলে । যেমন : স্টুডেন্ট এর নাম,ঠিকানা,যেসব বিষয় নেয়া হয়েছে সবকিছু একত্রে রেকর্ড অধীন
  • ফাইল(File): একই রকমের অনেকগুলো রের্কড নিয়ে ফাইল গঠিত হয় ।
  • ডেটাবেজ(Database): অনেক গুলো একই কাজের ফাইল একত্রে একটি ডেটাবেজ তৈরি হয় ।
উপরের সব উপাদান সর্ম্পকে আপনাকে অবশ্যই ভাল ভাবে যানতে হবে কারন প্রত্যেক টি ডাটাবেজ এই ৬টি উপাদান নিয়ে গঠিত হয়।
এনটিটি(Entity):   কোন কিছুর নামই এনটিটি । এক কথায় কোন কিছুর নাম ই এনটিটি ব্যক্তি, বস্তু,বিষয়,ঘটনা,যা কিছু প্রকাশ করা যায় তাই এনটিটি । যেমন :কোন দোকানে আমরা যখন order দিই তা বিভিন্ন ভাবে Processing হয়ে আমাদের কাছে আসে এটাই এনটিটি
এ্যাট্রিবিউট(Attribute): এনটিটির  বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য(গুনাগুন) থাকে ওই গুনাগুনই হচ্ছে  এ্যাট্রিবিউট । যেমন : স্টুডেন্টের নাম,রোল ইত্যাদি প্রতিটি ১ ১টি এ্যাট্রিবিউট
ডেটাবেজ সংগঠন/মডেল(Database Organization/Model):

আমরা জানি যে কোন বিষয় সর্ম্পকে তথ্যের সমাবেশই হচ্ছে ডেটাবেজ। ব্যবহারকারী এই সকল তথ্য কিভাবে ব্যবহার করতে চায় তার উপর ভিত্তি করে ডাটাবেজ গঠন হয়
নিচে কতিপয় ডেটাবেজ গঠিত হয়
  1. সরল ডেটাবেজ সংগঠন(Simple database model):  কেবল একটি ডেটা টেবিলের সমন্বয় ডেটাবেজ গঠিত হলে তাকে সরল ডেটাবেজ সংগঠন বলে । এই জাতীয় রের্কড গুলো কী ফিল্ডের উপর  উচ্চক্রম থেকে নিম্নক্রম অনুসারে সাজানো থাকে
  2. হায়ারারকিক্যাল সংগঠন: পরস্পর সম্পর্কিত কতগুলো রেকর্ড গুলো নিয়ে হায়ারারকিক্যাল ডেটাবেজ গঠিত হয় এই শাখা-প্রশাখা টেবিল ব্যবহৃত হয় এবং সর্বোচ্চ রের্কড কে বলা হয় ডেটাবেজের মূল।১টি (Parent) টেবিল এই মূল টেবিল থেকে বিস্তৃত হয় আর এগুলো চাইল্ড(child)টেবিল হিসাবে পরিচিত  Parent টেবিল এর সাথে child টেবিল one to one বা one to many রিলেশন থাকতে পারে । এই সর্ম্পকে পরে আলোচনা করব।
  3. নেটওর্য়াক ডেটাবেজ সংগঠন (Network database model): (DBTG=DATABASE TASK GROUP)নেটওর্য়াক ডেটা সংগঠন রেকর্ডসমুহ পরস্পরে সাথে link থাক
ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম(Data management system):DBMS হচ্ছে পরস্পর্র সর্ম্পক যুক্ত এ তথ্যকে এবং সেই তথ্য পর্যালোচনা করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রোগ্রামের সমষ্টি। পরস্পর সর্ম্পক যুক্ত এ তথ্য কে বলা হয় ডেটাবেজ । প্রধান উদ্দেশ্য হল "তথ্যা বলি সংরক্ষন সহজতর করা এবং তা ব্যবহার সহায়তা করা.
DBMS হচ্ছে এমন একটি সফট্ওয়ার যেটা ডেটাবেজ তৈরি,পরির্বতন,পরিবর্ধন.সংরক্ষন ,নিয়ন্তন এবং পরিচালনা করাই হল DBMS এর কাজ
আজ এতটুকু কারন আমি আপনাদেরকে অল্প অল্প করে শিখাবো ওরাকল সহজ বিষয় নয় এটি সারা পৃথিবী ডেটাবেজ উপর রাজত্র করে যাচ্ছে.আমার ৫মাস লাগছে শুধু ওরাকল কি এর সম্পর্কে জান্তে.আমি চেষ্টা করব খুব সহজ ভাবে শেখাতে..আমি আমার নিয়মে লিখছি.এখন যদি বলি ওরাকল অনেক কঠিন এক বিষয় তাহলে আপনারা ভয় পেয়ে যাবেন.সময় হলে সব জান্তে পারবেন 
আপনাদের কেমন লাগল আমাকে যানাতে ভুল বেনা যেন। আপনাদের অনুপ্রেরনায় আগামি টিউন উৎসাহ .গুনীজনেরো আপনারা আমার ভুল ধরিয়ে দিবেন.আবার ভুল করে থাকলে ক্ষামা করবেন..
আল্লাহ্ হাফেজ

Wednesday, April 16, 2014

ব্লগ সাইট খুলতে চাচ্ছেন? আপনি কি ব্লগিং জগতে নতুন? জেনে নিন সাফল্যের দুয়ারে পৌঁছানোর প্রাথমিক টিপস।

আপনি কি ব্লগিং শুরু করার কথা ভাবছেন? আপনাকে স্বাগতম! তবে হটাত করে ভেবে বসলেন আর ব্লগিং শুরু করলেন। তাহলে আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার খুব শীঘ্রই ১০০% হতাশায় পৌঁছাবে। তাই শুধু ব্লগিং না জীবনের প্রত্যেক সিদ্ধান্তে সবদিক বিবেচনা করুণ, সফলতা আসবেই।
ব্লগ
অনেকেই এখনও ব্লগিং শুরু করেন নি। কিন্তু ব্লগিং শুরু করার পরিকল্পনা এবং স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। তাদের পরিকল্পনায় সফলতা এনে দিতে হয়ত কিছুটা হলেও এই পোস্ট কাজে আসবে আশা রাখছি। আর সেই আশা থেকেই আজ লিখছি নতুন কিংবা হবু ব্লগারদের জন্য প্রাথমিক কিছু টিপস।

১. ব্লগ সম্পর্কে জানুনঃ

ব্লগ শুরু করবেন আর ব্লগ সম্পর্কে জানবেন না তা তো কিছুতেই হতে পারেনা। তাই আপনার ব্লগিং জীবনের শুরুর প্রথম ধাপ হল ভালোভাবে ব্লগিং সম্পর্কে জেনে নিন। ব্লগ কি?, ব্লগিং করে লাভ কি?, ব্লগিং করে কি আয় হয়?, ব্লগিং কিভাবে করে?, ব্লগিং করতে কি কি গুণ থাকতে হয়? ব্লগিং এর প্রকারভেদ কি কি? এই আর কি সবধরণের প্রাথমিক প্রশ্নের উত্তর জানুন। আর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল যে, "আপনি কতদিন বা কত বছর যাবত ব্লগ পড়ছেন?" বেশি বেশি বই পড়লে যেমন লেখক হওয়া যায় ঠিক ব্লগিং শুরু করতে আপনার প্রয়োজন হবে দীর্ঘ সময়ব্যাপী ব্লগ পড়ার সম্পৃক্ততা।
ব্লগ সম্পর্কে জানুন

২. সিদ্ধান্ত এবং পরিকল্পনাঃ

আপনি অনেকদিন ধরে ব্লগ পড়ছেন। এবার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছেন আপনি ব্লগ লিখবেন। তাহলে ব্লগিং জগতে আপনাকে স্বাগতম ! এবার একটি দক্ষ পরিকল্পনা করে ফেলুন। একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খুলতে যেমন অনেক পরিকল্পনা করতে হয় ঠিক তেমন পরিকল্পনা। পরিকল্পনার বিষয়গুলো হবেঃ কি বিষয়ে ব্লগিং করবেন, আপনি কি নিজের ব্লগ সাইটে ব্লগিং করবেন?, আপনি কি আয়ের জন্য ব্লগিং করবেন নাকি শখ মেটাতে? এবং শুরু করতে আরও ইত্যাদি ইত্যাদি যেসব বিষয় ভাবতে হয় সেগুলো দক্ষতার সাথে ভাবুন। তবে সবচেয়ে জোর দিন আপনি কিসের উপর ব্লগিং লিখতে চাচ্ছেন? এই প্রশ্নের সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য উত্তর হল, "আপনি যে বিষয়ে ভালো জানেন শুধু সেই বিষয়েই ব্লগিং লিখবেন।" অন্য কোন অজানা টপিকে ভুলেও হাত দিবেন না।
সিদ্ধান্ত এবং পরিকল্পনা

৩. প্লাটফর্ম নির্বাচনঃ

ইতিমধ্যেই ২ নম্বর ধাপে আপনাকেদেরকে একটি প্রশ্ন করেছি। আপনি কি নিজের ব্লগ সাইটে ব্লগ লিখবেন নাকি অন্য প্রতিষ্ঠিত মাল্টি ব্লগিং সাইটে ব্লগ লিখবেন? আমি মূলত লিখছি আজকের পোস্ট নিজের ব্লগ সাইটে ব্লগিং নিয়ে। ধরে নিলাম আপনি নিজেই ব্লগ সাইট খুলে ব্লগিং করবেন। তারপর আপনাকে নির্বাচন করতে হবে আপনি কোন ব্লগিং প্লাটফর্ম -এ লিখবেন। বিশ্বের অন্যতম সেরা দু'টি ব্লগিং প্লাটফর্ম হল ওয়ার্ডপ্রেস এবং ব্লগস্পট। তবে আপনাকে প্রথমত ব্লগস্পট ব্যবহারের পরামর্শ দিব। ওয়ার্ডপ্রেস বিশ্বের এক নম্বর ব্লগিং প্লাটফর্ম তাতে কারোই সন্দেহ নেই। কিন্তু মনে রাখতে হবে ওয়ার্ডপ্রেস যেহেতু বড় প্লাটফর্ম তাই এতে ব্লগিং করতে হলে আপনার জ্ঞানও থাকতে হবে বড়। কিন্তু আপনি যেহেতু একেবারেই নবীন একজন ব্লগার তাই আপনার জন্য ব্লগস্পট সবচেয়ে কার্যকারী প্লাটফর্ম। অভিজ্ঞ হওয়ার পর আপনি ওয়ার্ডপ্রেসে হাত দিতে পারবেন সহজেই। তাই ছোট প্লাটফর্ম দিয়েই শুরু করুন। কারণ আগে স্বরবর্ণ শিখেই ব্যঞ্জনবর্ণতে হাত দিতে হয়।
ব্লগিং প্লাটফর্ম

৪. ডোমেইনঃ

ব্লগস্পট একটি ফ্রি ব্লগিং প্লাটফর্ম। এতে ডোমেইন/হোস্টিং পুরো ফ্রি। কিন্তু ডোমেইনটি আপনাকে দেওয়া হয় সাধারণত সাবডোমেইন। তবে ব্লগস্পট আপনাকে আপনার নিজস্ব কেনা ডোমেইন ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে থাকে। আপনি যদি আর্থিকভাবে সচ্ছল হয়ে থাকেন তবে একটি টপ লেভেল ডোমেইন (যেমনঃ ডট কম, ডট নেট, ডট অরগ, ডট ইনফো ইত্যাদি) কিনে নিতে পারেন। একটি ডোমেইন আপনি ৮০০-১০০০ টাকার মধ্যেই কিনতে পারবেন। আর যদি আপনি ডোমেইন কিনতে সমর্থ না হন তবে মন খারাপ করার কিছুই নেই পরবর্তীতে কিনে নিবেন। আমিও আর্থিক সমস্যার কারণে ব্লগ শুরুর ৬ মাস পর ডোমেইন কিনেছিলাম।
ডোমেইন

৫. ব্লগ ডিজাইনঃ

ব্লগস্পটে ব্লগ ডিজাইন খুবই সহজ বলতে গেলে। ব্লগস্পটের ডিফল্ট টেমপ্লেট কাস্টমাইজ করা নতুনরা অল্পতেই শিখতে পারবেন। কিন্তু এক্সটারনাল টেমপ্লেট ব্যবহার করতে চাইলে আপনাকে এইচটিএমএল, সিএসএস এবং অন্যান্য কিছু ল্যাঙ্গুয়েজ জানতে হবে কাস্টমাইজ করার জন্য। ব্লগ ডিজাইন করতে আদর্শ হিসেবে বিভিন্ন ব্লগ সাইটের ডিজাইন অনুসরণ করতে পারেন। আপনি "ব্লগে নতুন" এই শব্দটা মনে কখনই প্রশ্রয় দিবেন না অন্তত ডিজাইনের ক্ষেত্রে। ডিজাইন করতে নিজেকে সবসময় মনে মনে প্রফেশনাল মনে করুন। খুবই সাদামাটার মাঝেও আকর্ষণীয় ব্লগ ডিজাইন করা সম্ভব। প্রফেশনাল ডিজাইনাররা মূলত এটাই করে থাকে। ব্লগ ভিজিটর কোন ধরণের ডিজাইন পছন্দ করে সেটি ভাবুন অথবা নিজে নিজেই ব্লগের ভিজিটর হোন এবং ঠিক করুন ব্লগটি কেমন ডিজাইনের হওয়া উচিত। এভাবেই সাদামাটা একটি আকর্ষণীয় ব্লগ ডিজাইন করে ফেলুন।
ব্লগ ডিজাইন

৬. কন্টেন্ট লেখাঃ

ব্লগিং এর প্রাণ বা রক্ত যাই বলুন না কেন, কন্টেন্ট হল ব্লগিং এর মূল সম্পদ। এই ব্যাপারে আমি হাজারবার শুধু একটা কথাই বলব সেটা হল, "ইউনিক কন্টেন্ট লিখুন"। অর্থাৎ নিজে লিখুন। কোন ক্রমেই কপি পেস্ট করবেন না। কপি পেস্ট কন্টেন্টের ১% মূল্যও নেই। আপনার কাছে কপি পেস্টের কাছে বিশাল কিছু হলেও আপনি বাদে সবাই কপি পেস্ট কন্টেন্ট ঘৃণা করে। আরেকটা কথা বলব সেটা হল, "কপি পেস্ট কন্টেন্ট দিয়ে ব্লগ লিখে আর যাই কিছু হওয়া যাক না কেন অন্তত ব্লগার হওয়া যায়না"। তাই এদিক ওদিক না দেখে সুন্দর, সাবলীল ভাষায় নিজের কন্টেন্ট লিখুন ধারাবাহিকভাবে। আপনি যে টপিক লিখবেন সে বিষয়ে পাঠককে সুন্দরভাবে বুঝাতে যেরকমভাবে বুঝাতে হবে ঠিক সেভাবেই আপনার লেখনীর মাধ্যমে বুঝাবেন। বানান ভুল না করার যথেষ্ট চেষ্টা করবেন। গ্রামাটিক্যাল এবং বানান ভুল চেক করার জন্য বিভিন্ন সাইট রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
ইউনিক কন্টেন্ট

৭. এসইওঃ

ব্লগের কন্টেন্ট লিখলেন সুন্দর সুন্দর কিন্তু ভিজিটর তো আপনার কন্টেন্ট সম্পর্কে এমনি এমনি জানবেনা। ইন্টারনেটের বেশিরভাগ ব্যবহারকারিরা কোন বিষয় জানতে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন সাইটে সার্চ করে। কিন্তু এখানেও সমস্যা আছে। কেউ সার্চ করল আর হাজার হাজার ব্লগের মাঝে আপনার ব্লগটি প্রথম সার্চ রেজাল্টে আনতেই কাজ করে এসইও। এসইও শব্দের অর্থ হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। তাই ব্লগের জন্য কার্যকারী এসইও করতে পারলে আপনার ব্লগে আসতে থাকবে প্রচুর পরিমাণ পাঠক।
এসইও
পরিশেষে বলব, খুবই সহজ কয়েকটি কথায় আপনার নতুন ব্লগিং জীবনের জন্য কিছু টিপস দিলাম। জানিনা কতটুকু কাজে আসবে। তবে নিজের ব্লগিং জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই এসব টিপস আপনাদের জন্য শেয়ার করলাম। কিছুটা কাজে আসলে আমাকে দয়া করে জানাতে কার্পণ্যবোধ কখনই করবেন না। আপনার ব্লগিং জীবন সুন্দর, সার্থক হোক এই কামনায় শেষ করছি আজকের পোস্ট। সবাই ভালো থাকবেন।