Monday, April 21, 2014

“ওরাকল ও ডেভেলপার” ইঞ্জিনিয়ার [পর্ব-১] :: যারা হতে চান তাদের জন্য এই পোস্ট

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম। বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আমি আপনাদের দোয়াই ভালোই আছি.আমি সম্পূর্ণ টেকটিউন নতুন । আমার প্রথম পোষ্ট যদি ভুল করে থাকি ক্ষমা করবেন । হাজির হয়েছি আপনাদের কাছে আমি মো.রহিম উদ্দিন সোহাগ  "ওরাকল ও ডেভেলপার  " নিয়ে । আমি 'ফেণী পলিটেকনিক ইন্সিটিটিউট'এ কম্পিউটার টেকনলজি  "ডিপ্লোমা-ইন- ইঞ্জিনিয়ারিং" ৪বর্ষের (৭ষ্ট সেমিষ্টার)ছাত্র । আমার স্বপন আমি ওরাকল ইঞ্জিনিয়ার হব এবং তার জন্য আমি কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি কারন এর ভবিষ্যৎ অবশ্যই ভাল । আমাকে ওরাকল সর্ম্পকে বলেছেন আমার মাছুম আংকেল তার অনুপ্রেরনায় এই পথে আসা আর স্যার হিসাবে আমাকে সার্পোট দিচ্ছেন কম্পিউটার টেকনোলজি বিভগীয় প্রধান আমার প্রিয় স্যার "Engr.S.M.Hamidul Hoque"( Ms in Electronics & Telecommunication Engineering,B.Sc.In Computer Science & engineering ) এবং টেকটিউন এ টিউন দিতে পুরো সাহায্য করেছেন "টিউনার sohag" আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ । আমি সব সময় ব্যতিক্রম কিছু করার চেষ্টা করি । ধাপে ধাপে আমরা ওরাকল শিখব । চলুন শুরু করি
বর্তমান বিশ্বে তথ্যের অবাধ প্রবাহ সব কিছুতেই ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে । বিশাল তথ্য ভান্ডারের এর নিকট আমরা ক্রমশ নির্ভশীল হয়ে পড়েছি । আর একটি শক্তিশালী ডেটাবেজ তড়িৎ ভূমিকা রাখে । ওরাকল ডেটাবেজ বিশ্বের একটি অপ্রতিদ্বন্দ্বী ডেটাবেজ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে । তাছাড়া এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী
১ম পর্বে আমরা প্রাথমিক ভাবে জানবো
  • ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে?
ডেটাবেজ ভূমিকা

ডেটা কী :
DATA শব্দের অর্থ হচ্ছে তথ্যের উপাদান (an item of information)। তথ‌‌্যের অন্তর্ভুক্ত ক্ষুদ্রতম অংশ সমুহ হচ্ছে ডেটা বা উপাত্ত যেমন : প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের পে-রোল তৈরী করার জন‌্য নাম,পদবি,কোড নং ,মূল বেতন ইত্যাদি । ডেটা বিভিন্ন প্রতীক ঃ অ ,ক,A,B,1,2 ইত্যাদি অথবা কোন ছবি যেমন: চন্দ্র,সূর্য,গাড়ি অন্য যেকোন কিছু হতে পারে
তথ্য কী:
সরবরাহকৃত ডেটা থেকে প্রক্রিয়ার পর নির্দিষ্ট চাহিদার প্রেক্ষিতে সুশৃংখল যে ফলাফল পাওয়া যায় তাকেই বলা হয় তথ্য বা information । যেমস: নম্বর ভিত্তিক ফলাফল, ছবি, রির্পোট, গবেষণার ফলাফল ইত্যাদি
ডেটাবেজ কী:
Data অর্থ হচ্ছে তথ্য বা উপাত্ত আর  Base অর্থ হচ্ছে ঘাটি বা সমাবেস । ডেটাবেজ শব্দের অর্থ হচ্ছে কোন বিষয় উপর ব্যাপক তথ্য বা উপাত্তরে সমাবেশ । উদাহরণ হিসাবে আমরা দিতে পারি "ভোটার তালিকায়  সংরক্ষতি ভোটারদের তথ্যসমুহ ,কোন কোম্পানির কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ফাইলে রেকর্ড সংরক্ষন করা ইত্যাদি  । আর উক্ত ডেটা টেবিলের সমন্বয়ে গঠিত কিন্তু বর্তমানে ডেটাবেজ ধারনা অনেক ব্যাপকতা লাভ করছে এখন ডেটাবেজ এর আওতা এক বা একাধিক ডেটা টেবিল,কুয়েরি,ফর্ম,রির্পোট.মডিউল ইত্যাদি ফাইল থাকতে পারে। কোন ডেটাবেজ এ এক বা একাধিক টেবিল থাকতে পারে
ডেটাবেজ এর বিভিন্ন উপাদান :
কম্পিউটারে ডেটা একটি নিদির্ষ্ট ধারা অনুসারে থাকে প্রথম ক্ষুদ্রতম একক হল
  • বিট( bit ):  ১টি ডেটার ক্ষুদ্রতম যে অংশ একটি কম্পিউার ব্যবহার করে তাকে বিট বলে যেমন: ০,১ এগুল বিট
  • বাইট(Byte):  ৮টি বিট নিয়ে ১বাইট গঠিত হয় : ১বাইট নিয়ে ১টি অক্ষর গঠিত হয়,নম্বর বা প্রতিক বুঝানো হয়
  • ফিল্ড(Field): একাধিক অক্ষর সমন্বয় গঠিত হয় ১টি শব্দ বা সংখ্যা একে ফিল্ড বলে । যেমন: কোন ব্যক্তির নাম বা বয়স ফিল্ড হতে পারে
  • রেকর্ড(Record): পরস্পর সম্পর্ক যুক্ত একগুচ্ছ ফাইলকে রেকর্ড বলে । যেমন : স্টুডেন্ট এর নাম,ঠিকানা,যেসব বিষয় নেয়া হয়েছে সবকিছু একত্রে রেকর্ড অধীন
  • ফাইল(File): একই রকমের অনেকগুলো রের্কড নিয়ে ফাইল গঠিত হয় ।
  • ডেটাবেজ(Database): অনেক গুলো একই কাজের ফাইল একত্রে একটি ডেটাবেজ তৈরি হয় ।
উপরের সব উপাদান সর্ম্পকে আপনাকে অবশ্যই ভাল ভাবে যানতে হবে কারন প্রত্যেক টি ডাটাবেজ এই ৬টি উপাদান নিয়ে গঠিত হয়।
এনটিটি(Entity):   কোন কিছুর নামই এনটিটি । এক কথায় কোন কিছুর নাম ই এনটিটি ব্যক্তি, বস্তু,বিষয়,ঘটনা,যা কিছু প্রকাশ করা যায় তাই এনটিটি । যেমন :কোন দোকানে আমরা যখন order দিই তা বিভিন্ন ভাবে Processing হয়ে আমাদের কাছে আসে এটাই এনটিটি
এ্যাট্রিবিউট(Attribute): এনটিটির  বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য(গুনাগুন) থাকে ওই গুনাগুনই হচ্ছে  এ্যাট্রিবিউট । যেমন : স্টুডেন্টের নাম,রোল ইত্যাদি প্রতিটি ১ ১টি এ্যাট্রিবিউট
ডেটাবেজ সংগঠন/মডেল(Database Organization/Model):

আমরা জানি যে কোন বিষয় সর্ম্পকে তথ্যের সমাবেশই হচ্ছে ডেটাবেজ। ব্যবহারকারী এই সকল তথ্য কিভাবে ব্যবহার করতে চায় তার উপর ভিত্তি করে ডাটাবেজ গঠন হয়
নিচে কতিপয় ডেটাবেজ গঠিত হয়
  1. সরল ডেটাবেজ সংগঠন(Simple database model):  কেবল একটি ডেটা টেবিলের সমন্বয় ডেটাবেজ গঠিত হলে তাকে সরল ডেটাবেজ সংগঠন বলে । এই জাতীয় রের্কড গুলো কী ফিল্ডের উপর  উচ্চক্রম থেকে নিম্নক্রম অনুসারে সাজানো থাকে
  2. হায়ারারকিক্যাল সংগঠন: পরস্পর সম্পর্কিত কতগুলো রেকর্ড গুলো নিয়ে হায়ারারকিক্যাল ডেটাবেজ গঠিত হয় এই শাখা-প্রশাখা টেবিল ব্যবহৃত হয় এবং সর্বোচ্চ রের্কড কে বলা হয় ডেটাবেজের মূল।১টি (Parent) টেবিল এই মূল টেবিল থেকে বিস্তৃত হয় আর এগুলো চাইল্ড(child)টেবিল হিসাবে পরিচিত  Parent টেবিল এর সাথে child টেবিল one to one বা one to many রিলেশন থাকতে পারে । এই সর্ম্পকে পরে আলোচনা করব।
  3. নেটওর্য়াক ডেটাবেজ সংগঠন (Network database model): (DBTG=DATABASE TASK GROUP)নেটওর্য়াক ডেটা সংগঠন রেকর্ডসমুহ পরস্পরে সাথে link থাক
ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম(Data management system):DBMS হচ্ছে পরস্পর্র সর্ম্পক যুক্ত এ তথ্যকে এবং সেই তথ্য পর্যালোচনা করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রোগ্রামের সমষ্টি। পরস্পর সর্ম্পক যুক্ত এ তথ্য কে বলা হয় ডেটাবেজ । প্রধান উদ্দেশ্য হল "তথ্যা বলি সংরক্ষন সহজতর করা এবং তা ব্যবহার সহায়তা করা.
DBMS হচ্ছে এমন একটি সফট্ওয়ার যেটা ডেটাবেজ তৈরি,পরির্বতন,পরিবর্ধন.সংরক্ষন ,নিয়ন্তন এবং পরিচালনা করাই হল DBMS এর কাজ
আজ এতটুকু কারন আমি আপনাদেরকে অল্প অল্প করে শিখাবো ওরাকল সহজ বিষয় নয় এটি সারা পৃথিবী ডেটাবেজ উপর রাজত্র করে যাচ্ছে.আমার ৫মাস লাগছে শুধু ওরাকল কি এর সম্পর্কে জান্তে.আমি চেষ্টা করব খুব সহজ ভাবে শেখাতে..আমি আমার নিয়মে লিখছি.এখন যদি বলি ওরাকল অনেক কঠিন এক বিষয় তাহলে আপনারা ভয় পেয়ে যাবেন.সময় হলে সব জান্তে পারবেন 
আপনাদের কেমন লাগল আমাকে যানাতে ভুল বেনা যেন। আপনাদের অনুপ্রেরনায় আগামি টিউন উৎসাহ .গুনীজনেরো আপনারা আমার ভুল ধরিয়ে দিবেন.আবার ভুল করে থাকলে ক্ষামা করবেন..
আল্লাহ্ হাফেজ

Wednesday, April 16, 2014

ব্লগ সাইট খুলতে চাচ্ছেন? আপনি কি ব্লগিং জগতে নতুন? জেনে নিন সাফল্যের দুয়ারে পৌঁছানোর প্রাথমিক টিপস।

আপনি কি ব্লগিং শুরু করার কথা ভাবছেন? আপনাকে স্বাগতম! তবে হটাত করে ভেবে বসলেন আর ব্লগিং শুরু করলেন। তাহলে আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার খুব শীঘ্রই ১০০% হতাশায় পৌঁছাবে। তাই শুধু ব্লগিং না জীবনের প্রত্যেক সিদ্ধান্তে সবদিক বিবেচনা করুণ, সফলতা আসবেই।
ব্লগ
অনেকেই এখনও ব্লগিং শুরু করেন নি। কিন্তু ব্লগিং শুরু করার পরিকল্পনা এবং স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। তাদের পরিকল্পনায় সফলতা এনে দিতে হয়ত কিছুটা হলেও এই পোস্ট কাজে আসবে আশা রাখছি। আর সেই আশা থেকেই আজ লিখছি নতুন কিংবা হবু ব্লগারদের জন্য প্রাথমিক কিছু টিপস।

১. ব্লগ সম্পর্কে জানুনঃ

ব্লগ শুরু করবেন আর ব্লগ সম্পর্কে জানবেন না তা তো কিছুতেই হতে পারেনা। তাই আপনার ব্লগিং জীবনের শুরুর প্রথম ধাপ হল ভালোভাবে ব্লগিং সম্পর্কে জেনে নিন। ব্লগ কি?, ব্লগিং করে লাভ কি?, ব্লগিং করে কি আয় হয়?, ব্লগিং কিভাবে করে?, ব্লগিং করতে কি কি গুণ থাকতে হয়? ব্লগিং এর প্রকারভেদ কি কি? এই আর কি সবধরণের প্রাথমিক প্রশ্নের উত্তর জানুন। আর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল যে, "আপনি কতদিন বা কত বছর যাবত ব্লগ পড়ছেন?" বেশি বেশি বই পড়লে যেমন লেখক হওয়া যায় ঠিক ব্লগিং শুরু করতে আপনার প্রয়োজন হবে দীর্ঘ সময়ব্যাপী ব্লগ পড়ার সম্পৃক্ততা।
ব্লগ সম্পর্কে জানুন

২. সিদ্ধান্ত এবং পরিকল্পনাঃ

আপনি অনেকদিন ধরে ব্লগ পড়ছেন। এবার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছেন আপনি ব্লগ লিখবেন। তাহলে ব্লগিং জগতে আপনাকে স্বাগতম ! এবার একটি দক্ষ পরিকল্পনা করে ফেলুন। একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খুলতে যেমন অনেক পরিকল্পনা করতে হয় ঠিক তেমন পরিকল্পনা। পরিকল্পনার বিষয়গুলো হবেঃ কি বিষয়ে ব্লগিং করবেন, আপনি কি নিজের ব্লগ সাইটে ব্লগিং করবেন?, আপনি কি আয়ের জন্য ব্লগিং করবেন নাকি শখ মেটাতে? এবং শুরু করতে আরও ইত্যাদি ইত্যাদি যেসব বিষয় ভাবতে হয় সেগুলো দক্ষতার সাথে ভাবুন। তবে সবচেয়ে জোর দিন আপনি কিসের উপর ব্লগিং লিখতে চাচ্ছেন? এই প্রশ্নের সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য উত্তর হল, "আপনি যে বিষয়ে ভালো জানেন শুধু সেই বিষয়েই ব্লগিং লিখবেন।" অন্য কোন অজানা টপিকে ভুলেও হাত দিবেন না।
সিদ্ধান্ত এবং পরিকল্পনা

৩. প্লাটফর্ম নির্বাচনঃ

ইতিমধ্যেই ২ নম্বর ধাপে আপনাকেদেরকে একটি প্রশ্ন করেছি। আপনি কি নিজের ব্লগ সাইটে ব্লগ লিখবেন নাকি অন্য প্রতিষ্ঠিত মাল্টি ব্লগিং সাইটে ব্লগ লিখবেন? আমি মূলত লিখছি আজকের পোস্ট নিজের ব্লগ সাইটে ব্লগিং নিয়ে। ধরে নিলাম আপনি নিজেই ব্লগ সাইট খুলে ব্লগিং করবেন। তারপর আপনাকে নির্বাচন করতে হবে আপনি কোন ব্লগিং প্লাটফর্ম -এ লিখবেন। বিশ্বের অন্যতম সেরা দু'টি ব্লগিং প্লাটফর্ম হল ওয়ার্ডপ্রেস এবং ব্লগস্পট। তবে আপনাকে প্রথমত ব্লগস্পট ব্যবহারের পরামর্শ দিব। ওয়ার্ডপ্রেস বিশ্বের এক নম্বর ব্লগিং প্লাটফর্ম তাতে কারোই সন্দেহ নেই। কিন্তু মনে রাখতে হবে ওয়ার্ডপ্রেস যেহেতু বড় প্লাটফর্ম তাই এতে ব্লগিং করতে হলে আপনার জ্ঞানও থাকতে হবে বড়। কিন্তু আপনি যেহেতু একেবারেই নবীন একজন ব্লগার তাই আপনার জন্য ব্লগস্পট সবচেয়ে কার্যকারী প্লাটফর্ম। অভিজ্ঞ হওয়ার পর আপনি ওয়ার্ডপ্রেসে হাত দিতে পারবেন সহজেই। তাই ছোট প্লাটফর্ম দিয়েই শুরু করুন। কারণ আগে স্বরবর্ণ শিখেই ব্যঞ্জনবর্ণতে হাত দিতে হয়।
ব্লগিং প্লাটফর্ম

৪. ডোমেইনঃ

ব্লগস্পট একটি ফ্রি ব্লগিং প্লাটফর্ম। এতে ডোমেইন/হোস্টিং পুরো ফ্রি। কিন্তু ডোমেইনটি আপনাকে দেওয়া হয় সাধারণত সাবডোমেইন। তবে ব্লগস্পট আপনাকে আপনার নিজস্ব কেনা ডোমেইন ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে থাকে। আপনি যদি আর্থিকভাবে সচ্ছল হয়ে থাকেন তবে একটি টপ লেভেল ডোমেইন (যেমনঃ ডট কম, ডট নেট, ডট অরগ, ডট ইনফো ইত্যাদি) কিনে নিতে পারেন। একটি ডোমেইন আপনি ৮০০-১০০০ টাকার মধ্যেই কিনতে পারবেন। আর যদি আপনি ডোমেইন কিনতে সমর্থ না হন তবে মন খারাপ করার কিছুই নেই পরবর্তীতে কিনে নিবেন। আমিও আর্থিক সমস্যার কারণে ব্লগ শুরুর ৬ মাস পর ডোমেইন কিনেছিলাম।
ডোমেইন

৫. ব্লগ ডিজাইনঃ

ব্লগস্পটে ব্লগ ডিজাইন খুবই সহজ বলতে গেলে। ব্লগস্পটের ডিফল্ট টেমপ্লেট কাস্টমাইজ করা নতুনরা অল্পতেই শিখতে পারবেন। কিন্তু এক্সটারনাল টেমপ্লেট ব্যবহার করতে চাইলে আপনাকে এইচটিএমএল, সিএসএস এবং অন্যান্য কিছু ল্যাঙ্গুয়েজ জানতে হবে কাস্টমাইজ করার জন্য। ব্লগ ডিজাইন করতে আদর্শ হিসেবে বিভিন্ন ব্লগ সাইটের ডিজাইন অনুসরণ করতে পারেন। আপনি "ব্লগে নতুন" এই শব্দটা মনে কখনই প্রশ্রয় দিবেন না অন্তত ডিজাইনের ক্ষেত্রে। ডিজাইন করতে নিজেকে সবসময় মনে মনে প্রফেশনাল মনে করুন। খুবই সাদামাটার মাঝেও আকর্ষণীয় ব্লগ ডিজাইন করা সম্ভব। প্রফেশনাল ডিজাইনাররা মূলত এটাই করে থাকে। ব্লগ ভিজিটর কোন ধরণের ডিজাইন পছন্দ করে সেটি ভাবুন অথবা নিজে নিজেই ব্লগের ভিজিটর হোন এবং ঠিক করুন ব্লগটি কেমন ডিজাইনের হওয়া উচিত। এভাবেই সাদামাটা একটি আকর্ষণীয় ব্লগ ডিজাইন করে ফেলুন।
ব্লগ ডিজাইন

৬. কন্টেন্ট লেখাঃ

ব্লগিং এর প্রাণ বা রক্ত যাই বলুন না কেন, কন্টেন্ট হল ব্লগিং এর মূল সম্পদ। এই ব্যাপারে আমি হাজারবার শুধু একটা কথাই বলব সেটা হল, "ইউনিক কন্টেন্ট লিখুন"। অর্থাৎ নিজে লিখুন। কোন ক্রমেই কপি পেস্ট করবেন না। কপি পেস্ট কন্টেন্টের ১% মূল্যও নেই। আপনার কাছে কপি পেস্টের কাছে বিশাল কিছু হলেও আপনি বাদে সবাই কপি পেস্ট কন্টেন্ট ঘৃণা করে। আরেকটা কথা বলব সেটা হল, "কপি পেস্ট কন্টেন্ট দিয়ে ব্লগ লিখে আর যাই কিছু হওয়া যাক না কেন অন্তত ব্লগার হওয়া যায়না"। তাই এদিক ওদিক না দেখে সুন্দর, সাবলীল ভাষায় নিজের কন্টেন্ট লিখুন ধারাবাহিকভাবে। আপনি যে টপিক লিখবেন সে বিষয়ে পাঠককে সুন্দরভাবে বুঝাতে যেরকমভাবে বুঝাতে হবে ঠিক সেভাবেই আপনার লেখনীর মাধ্যমে বুঝাবেন। বানান ভুল না করার যথেষ্ট চেষ্টা করবেন। গ্রামাটিক্যাল এবং বানান ভুল চেক করার জন্য বিভিন্ন সাইট রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
ইউনিক কন্টেন্ট

৭. এসইওঃ

ব্লগের কন্টেন্ট লিখলেন সুন্দর সুন্দর কিন্তু ভিজিটর তো আপনার কন্টেন্ট সম্পর্কে এমনি এমনি জানবেনা। ইন্টারনেটের বেশিরভাগ ব্যবহারকারিরা কোন বিষয় জানতে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন সাইটে সার্চ করে। কিন্তু এখানেও সমস্যা আছে। কেউ সার্চ করল আর হাজার হাজার ব্লগের মাঝে আপনার ব্লগটি প্রথম সার্চ রেজাল্টে আনতেই কাজ করে এসইও। এসইও শব্দের অর্থ হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। তাই ব্লগের জন্য কার্যকারী এসইও করতে পারলে আপনার ব্লগে আসতে থাকবে প্রচুর পরিমাণ পাঠক।
এসইও
পরিশেষে বলব, খুবই সহজ কয়েকটি কথায় আপনার নতুন ব্লগিং জীবনের জন্য কিছু টিপস দিলাম। জানিনা কতটুকু কাজে আসবে। তবে নিজের ব্লগিং জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই এসব টিপস আপনাদের জন্য শেয়ার করলাম। কিছুটা কাজে আসলে আমাকে দয়া করে জানাতে কার্পণ্যবোধ কখনই করবেন না। আপনার ব্লগিং জীবন সুন্দর, সার্থক হোক এই কামনায় শেষ করছি আজকের পোস্ট। সবাই ভালো থাকবেন।

গুগলকে খুশি রেখে লিংকবিল্ডিং করে ওয়েবসাইটকে র‌্যাংক করতে পোস্টটি পড়ুন

লিংকবিল্ডিং নিয়ে সবাই অনেক আতংকে আছে। অনেকেই বলে এর দিন শেষ। অনেকে সঠিক পদ্ধতিতে লিংকবিল্ডিং করতে জানেননা দেখে পেনাল্টিও খাচ্ছে। বিভিন্ন জনের কাছে শুনি অনেক কিছু।  সেজন্যই এ পোস্টটি।  পোস্টটি ক্রিয়েটিভ আইটিতে আমার এসইও স্টুডেন্ট ইফাত শারমিন লিখেছেন।
গুগল লিঙ্ক বিল্ডিং কে বর্তমানে খুব একটা প্রাধান্য দিচ্ছে না। দেখা যাক, তার কি কারণ হতে পারে;

কেন গুগল লিঙ্ক বিল্ডিংকে পছন্দ করছে নাঃ

এক সময় গুগল লিঙ্কবিল্ডিং কে খুব গুরুত্ব দিতো, কিন্তু এক পর্যায়ে এসে দেখা গেল অনেক ওয়েবসাইট শুধু মাত্র লিঙ্ক বিল্ডিং এর মাধ্যমেই সার্চ ইঞ্জিনে হাই পেইজ রেঙ্ক পেয়ে যাছে, ভিসিটরদের কে টানছে, যদিও পরবর্তিতে দেখা যায় তাদের সার্ভিস অত্যন্ত নিচু মানের। সে কারনেই গুগল লিঙ্ক বিল্ডিং থেকে চোখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
লিঙ্ক বিল্ডিঙের right এবং wrong দুটো পদ্ধতিই আছে, তবে এটিকে বেশি প্রাধান্য দিতে গিয়ে দেখা গেছে সবাই ব্যাবসার প্রসারের জন্য wrong পদ্ধতিতে লিংকবিল্ডিং করে খুব দ্রুত হাই পেজ রেঙ্ক পেয়ে যেত, যা এখন একেবারেই অসম্ভব।

লিঙ্ক বিল্ডিং হচ্ছে অনেকটা পেশী শক্তি অর্জনের মতঃ

yes-no-link-buildingলিঙ্ক বিল্ডিং কে অনেকটা পেশী শক্তি’র সাথে তুলনা করা যেতে পারে। পেশী শক্তি অর্জনের জন্য কেও নিয়মিত ব্যায়াম করে, কেও ট্রেনিং নিয়ে , কেও পুষ্টিকর খাবার গ্রহন করে। আবার কেউ বা স্টেরয়েডএর মাধ্যমেও দ্রুত এই শক্তি অর্জন করতে পারে।
শেষ পন্থাটি খুব দ্রুত কাজ করে ঠিকই, তবে পরে নানা রকম শারিরীক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে শক্তি অর্জন করতে অনেক সময় ব্যয় হয় ঠিকই, তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়, এবং কোন রকম সমস্যার সম্মুখীনও হতে হয় না।
লিঙ্ক বিল্ডিং ও অনেকটা সেই রকম, শর্ট কাট পদ্ধতি তে লিঙ্ক বিল্ডিং করে রেঙ্ক পাওয়া যায়, তবে তা স্থায়ী হয় না। খুব দ্রুত তা নেমেও যেতে পারে। আবার অনেক ক্ষেত্রে কিকড আউট হবার সম্ভাবনাও থাকে।
কিন্তু বৈধ উপায়ে হাই ভেলূ রিসোর্স এ লিঙ্ক বিল্ডিং করলে তার রেজাল্ট পেতে হয়ত সময় লাগতে পারে, তবে তার দির্ঘস্থায়ী হয়।

লিঙ্ক বিল্ডিং এখন আর সহজ নেইঃ

এক সময় স্পেমিং করে খুব সহজেই লিঙ্ক বিল্ডিং করা যেত, যা এখন একেবারেই অসম্ভব। সার্চ ইঞ্জিন যদি ধরতে পারে কেও স্পেমিং করছে, বা লিঙ্ক বিল্ডিং এর সঠিক পদ্ধতি অনুসরন করছে না, তাহলে গুগল তাকে পেনাল্টি করবে নিশ্চিত। আর এতে করে শুধু যে রেঙ্কিং হারাবে, তাই নয়, ব্যবসাও বন্ধ হয়ে যাবে।
সেখানেই লিঙ্ক বিল্ডিং করতে হবে, যেখানে তার টার্গেটেড কাস্টমাররা থাকবে বা থাকতে পারে। যে কোন জায়গায় করলেই তা পেনাল্টি খাবে।

কৌশল করে লিঙ্ক বিল্ডিং করাটাও নেচারাল নাঃ

অনেকে টপ রেঙ্কিং এ আসার জন্য তাদের লিঙ্ক এক্সটারনাল কন্টেন্টে বা ব্লগ পোস্টে, ইনফো গ্রাফিক্স বা ওয়েব কন্টেন্টে লিঙ্ক ছড়িয়ে দিয়ে তা নিজের সাইটে আবার ব্যাক করায়। এখানে প্রশ্ন আসে, এটি কি স্বাভাবিক নয়?
ঠিক আছে, তাহলে এবার আপনি কল্পনা করুন, রাজনৈতিক বা অন্য কোন কারনে আপনি একটি নির্বাচনের আয়োজন করতে চাইছেন যা আপনাকে সঠিক, উপযুক্ত ও বিশ্বস্ত ব্যাক্তি নির্বাচনে সাহায্য করবে । আপনি নিশ্চই চাইবেন না কারচুপি করে কোন ভুল ব্যক্তি নিরবাচিত হোক। সেই জন্যে সব কিছুই আপনি খুব কড়া ভাবে গঠন করবেন। যেন কোন ব্যক্তি মিথ্যা বা ফেইক তথ্য দিয়ে অসত উপায়ে নির্বাচিত হোক, তাই না?
গুগলও তাই, সে কিছুতেই চাইছে না কেও কোন রকম ভুল বা মিথ্যে তথ্য দিয়ে তার ইউজারদের কে কেও ফাঁকি দিক।

কন্টেন্ট মার্কেটিং এবং গেস্ট ব্লগিং কতটা ফলপ্রসুঃ

538775_10150621001818499_785771667_n
গুগলের লাস্ট আপডেটের পর থেকে কন্টেন্ট মার্কেটিং এবং গেস্ট ব্লগিং বেশ গুরুত্ব পেয়েছে। তবে শুধু মাত্র লিঙ্ক বিল্ডিং এর জন্য কন্টেন্ট ক্রিয়েট করলে সেটার গুরুত্ব খুব কমই পায়, কন্টেন্ট এমন হওয়া উচিত যাতে মানুষ নিজেরাই সেই কন্টেন্টে নিজেকে যুক্ত করে। কারণ সেই কন্টেন্ট তাদের সমস্যার সমাধান করেছে, তাদের সাহায্য করেছে, তাদের প্রয়োজন মিটিয়েছে।
সুতরাং কন্টেন্ট লিখেতে হবে লিঙ্ক ক্রিয়েট করার জন্যে না, ইউজারদের চাহিদা মিটাবার জন্যে। সময় নিয়ে, কাস্টমার দের চাহিদার কথা বিবেচনা করেই কন্টেন্ট লিখতে হবে।

তার জন্যে যা করতে হবে,

  • সমস্যা এবং আকাঙ্খা সনাক্ত করা,
  • এমন সমাধান দেয়া,যা মানুষ কে সাহায্য করবে।
  • নিজের বিশ্বস্ততা, সততা এবং পেশাদারিত্বের মর্যাদা দিতে হবে।
  • নিজেকে কাস্টমার দের কাছে আস্থা ভাজন হতে হবে।
এভাবেই নিজেকে ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলে এমন ভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে যে আপনি মার্কেটিং করতে আসেন নি, এসেছেন কারো সমস্যার সমাধান দিতে, সাহায্য করতে।
মনে রাখতে হবে, কেও আপনার লিঙ্ক এ আসবে না, যদি না আপনি তাদের আস্থা ভাজন না হয়ে উঠতে পারেন।
তাই বলা যায় ‘আস্থাই হচ্ছে আপনার সাফল্যের মূল চাবি কাঠি”।
লিঙ্কের জন্যে কন্টেন্ট? সেই দিন আর শেষ হয়ে গেছে।
সুতরাং আশা করবো এখন থেকে সবাই হাজার হাজার লিঙ্ক বিল্ডিং না করে মান সম্মত লিঙ্ক বিল্ডিং করে গুগলকে খুশী রাখবেন এবং নিজের বা অন্যের ব্যাবসায়ের প্রসারে দক্ষ হয়ে উঠবেন।
এসইও যা শিখেছি, ক্রিয়েটিভ আইটি থেকে শিখেছি। আপনাদেরও কিছু জানার থাকলে তাদের অফিসিয়ালগ্রুপে জয়েন করতে পারেন।