Monday, April 21, 2014

Microsoft Small Basic প্রোগ্রামিং [পর্ব-০২] :: আরও একটু এডভান্স

প্রথম পর্বে আমরা Microsoft Small Basic এর সাহায্যে ছোট একটি Hello World প্রোগ্রাম তৈরী করা শিখেছিলাম। এই পর্বে আমরা আরও অ্যাডভান্সড কিছু বিষয় শিখবো। তো চলুন শুরু করা যাক।
আপনি প্রথম প্রোগ্রামে যখন TextWindow.WriteLine লিখেছিলেন তখন দেখেছিলেন যে নিচের মতো একটি মেনু আপনাকে সাজেশন দিচ্ছিল। এই মেনুকে বলা হয়ে থাকে Intellisense মেনু। যখনি আপনার কাঙ্খিত অপারেশন/অবজেকট/মেথড লিখতে লিখতে সাজেশনে এন্টার  দিবেন তখন  বাকিটুকু অটোমেটিক বসে যাবে।

প্রোগ্রাম এর মূল উদ্দেশ্য কিন্তু গাণিতিক সমস্যার সমাধান করা। অজানা কোন রাশির মান নির্ণয় করা। তাই আমরা চলুন সাধারণ কিছু যোগ বিয়োগের কাজ Microsoft Small Basic এর মাধ্যমে করি।  :)
সাধারণ যে কোন যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ Small Basic এ করা যায়। এজন্য আপনাকে কিছু ভেরিয়েবল নিতে হবে। এখন ভেরিয়েবল কি? ভেরিয়েবল হলো গণিতের ভাষায় চলক। যার মান যে কোন সময় পরিবর্তিত হতে পারে। যেমন আমরা পাটিগণিতে করেছিলামঃ
মনে করি,
পিতার বয়স ‘ক’ বছর।
এখানে ‘ক’ হলো একটি ভেরিয়েবল। কারণ ‘ক’ এর মান আমাদের কাছে অজানা। তাই এতে আমরা যে কোন মান দিতে পারি।
Small Basic প্রোগ্রামিং এ ভেরিয়েবলে সরাসরি মান অ্যাসাইন করা যায়। যেমন ধরুন আমি x, y ও z এই তিনটি ভেরিয়েবল এ যথাক্রমে 3, 5 ও 7 মান অ্যাসাইন করবো। তাহলে আমি প্রোগ্রামে লিখবোঃ
x = 3
y = 5
z = 7
এখন আমি এই তিনটি ভেরিয়েবলের যোগফল বের করতে চাই। কিন্তু এদের যোগফল আমি জানি না। এদের যোগফল জমা রাখার জন্য আমি আরেকটি ভেরিয়েবল নিবো। এই ভেরিয়েবলের নাম দিলাম ans. তাহলে আমরা লিখতে পারি,
ans = a + b + c
অর্থাৎ a , b ও c এর যোগফল ans নামক একটি ভেরিয়েবলে অ্যাসাইন হবে বা জমা হবে।
Note: এখানে একটি বিষয় বলে রাখি আপনি যখনি একটি ভেরিয়েবল নিবেন তখনি তার জন্য আপনার র‍্যামে নির্দিষ্ট পরিমাণ যায়গা বরাদ্দ করা হবে। আসলে ভেরিয়বল হলো আপনার র‍্যামের একটি নির্দিষ্ট যায়গাকে নাম দিয়ে প্রকাশ করা। আর প্রোগ্রামিং এর প্রতিটি লাইনকে এক একটি স্টেটমেন্ট বলা হয়ে থাকে।
এখন আমাদের কাজ হবে এই যোগফলটা স্ক্রিনে দেখানো। মানে আউটপুট হিসেবে দেখানো। তো এজন্য নিচের কোডটুকু লিখুনঃ
x = 3
y = 5
z = 7
ans = x + y + z
TextWindow.WriteLine(ans)
এবার প্রোগ্রামটি রান করে দেখুন। আউটপুট কি দেখতে পারছেন? শুধু 15 তাই না? এর চেয়ে যদি আমাদেরকে The answer is 15 এভাবে দেখাতো তাহলে ভালো হতো না? হ্যাঁ এটা সম্ভব এবং এটা আপনাকে প্রোগ্রামে লিখতে হবে। তাহলে উপরের প্রোগ্রামটা আমরা পুনরায় এভাবে লিখতে পারিঃ
x = 3
y = 5
z = 7
ans = x + y + z
TextWindow.WriteLine("The answer is " + ans)
এবার দেখুন আউটপুট কি আসছে? আমরা যা আশা করেছিলাম ঠিক তাই তাইনা? এবার আপনার কাজ হলো এভাবে বিয়োগ, গুন ও ভাগ করা।
লক্ষনীয়ঃ The answer is হলো একটি স্ট্রিং বা একসারি লেটার। আর যে কোন স্ট্রিংকে ডাবল কোটেশনের মধ্যে রাখতে হয়। এবং ans হলো একটি ভেরিয়েবল মাত্র। তাই এটি কোন স্ট্রিং না। তাই এতে কোন ডাবল কোটেশন দেওয়া হয়নি। আর এটি আউটপুট দেবার জন্য এর পূর্বে + চিহ্ণ বসানে হয়েছে। আমরা যদি একাধিক ভেরিয়েবল আউটপুটে রাখতাম তাহলে আমাদের লাইনটি হতোঃ
TextWindow.WriteLine("The sum of " + x + "," +  y + " and " + z  + " is " + ans)
এবার নিচের প্রোগ্রামটা খেয়াল করুন। আউটপুট কি আসতে পারে তা চিন্তা করে দেখুন।
x = 3
y = 5
y = 7
z = 7
ans = x + y + z
TextWindow.WriteLine("The answer is " + ans)
কি দেখলেন? আউটপুট 17 আসলো তাইনা? কিন্তু কেনো? আমরা y এর মান দুইবার অ্যাসাইন করেছি। একবার ৫ এবং আরেকবার ৭। সর্বশেষ যে মানটি অ্যসাইন করা হবে সেটিই গ্রহণযোগ্য হবে। কারণ আমি পূর্বেই বলেছি ভেরিয়েবল হলো মেমোরির একটি যায়গা। যে যায়গায় আপনার দেওয়া মানটি জমা হয়ে যায়। আপনি যদি পরবর্তী লাইনে মান পরিবর্তন করে থাকেন তাহলে ভেরিয়েবলটির মান নতুন দেওয়া মানটি হবে। এটি ভালোভাবে বোঝার জন্য নিচের উদাহরণটি দেখুন।
x = 3
y = 5
z = 7
ans = x + y + z
TextWindow.WriteLine("The first answer is " + ans)
x = 3
y = 7
z = 7
ans = x + y + z
TextWindow.WriteLine("The second answer is " + ans)
এখানে প্রথম আউটপুট লেখার সময় y এর মান ৫ ছিলো তাই আউটপুট ১৫ এসেছে। আর দ্বিতীয় লেখাটি আউটপুট করার সময় y এর মান ছিলো । তাই আউটপুটও ১৭ হয়েছে।
এতোক্ষন আমরা যে প্রোগ্রামগুলো করলাম এগুলোতে x , y , z এর মান ফিক্সড ছিলো। কিন্তু প্রোগ্রামগুলো ইউজার ডিফাইন্ড করলে ভালো হয় না? এখন আমরা এটাই করতে যাবো। আমরা চাই কম্পিউটার ব্যাবহারকারীরা  ইনপুট দিবে আর  কম্পিউটার উত্তর দেখাবে। এজন্য আমরা TextWindow এর আরেকটি অপারেশন শিখবো। এই অপারেশনটির নাম হলো ReadNumber() . এই অপারেশনটির মাধ্যমে যে কোন নাম্বার ইনপুট নেওয়া যাবে।
TextWindow.WriteLine("Enter a number: ")
x = TextWindow.ReadNumber()
TextWindow.WriteLine("Enter another number: ")
y = TextWindow.ReadNumber()
ans = x + y
TextWindow.WriteLine("The sum of entered number is : " + ans)
বাহ। আপনি তো একটি ছোট যোগ করার ক্যালকুলেটর বানিয়ে ফেললেন তাইনা? এবার আপনার কাজ হবে একইভাবে একটি বিয়োগ, গুন ও ভাগ করার ক্যালকুলেটর তৈরী করা।
আপনাদের প্রতি বিশেষ অনুরোধঃ প্রতিটি প্রোগ্রাম আপনি নিজে লিখে রান করবেন। কখনও কপি পেস্ট করবেন না। প্রতিটি প্রোগ্রাম নতুন ফাইলে করবেন।
আজ এতোটুকুই থাক। আগামী পর্বে আরও নতুন বিষয় নিয়ে হাজির হবো ইনশাল্লাহ।

Microsoft Small Basic প্রোগ্রামিং [পর্ব-০১] :: প্রাথমিক আলোচনা

সবাইকে স্বাগতম জানিয়ে আমি Microsoft Small Basic দিয়ে প্রোগ্রামিং করার ধারাবাহিক পোস্ট  শুরু করতে যাচ্ছি। আশাকরি পোস্টটি নিয়মিত আপনাদের উপহার দিতে পারবো।

 

শুরুর কথা

কম্পিউটার প্রোগ্রামিং কি? কম্পিউটারকে এক বা একাধিক নির্দেশনা দেওয়াকে প্রোগ্রাম বলা হয়। আর যে ভাষায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয় সেই ভাষাকে বলা হয় প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ। আমরা যে ভাষায় কথা বলি সে ভাষা কিন্তু কম্পিউটার বুঝতে পারে না। তাই কম্পিউটারের ভাষায় কিন্তু আমাদের নির্দেশনা দেওয়া উচিত। কিন্তু কম্পিউটারের ভাষা কি জানেন? শুধু 0 ও 1 দিয়ে হাবিজাবি সব লেখা। এই সকল 0 ও 1 দিয়ে নির্দেশনা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাইতো কম্পিউটার ইন্জিনিয়াররা , বিশ্বের বাঘা বাঘা প্রোগ্রামাররা আমাদের প্রোগ্রাম লেখাটাকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। আমরা এখন যে প্রোগ্রামগুলো লিখি সেগুলো অনেকটাই ইংরেজি ভাষার মতো। এই ইংরেজি ভাষার মতো প্রোগ্রামগুলোকে বলা হয় High Level Language. এখন আমাদের জন্য বড় বড় প্রোগ্রামাররা Compiler নামক একটা সফটওয়্যার তৈরী করে দিয়েছেন। যা দিয়ে আমরা যে High Level Language এ প্রোগ্রামগুলো লিখি তা কম্পিউটারের ভাষায় রূপান্তর করে ফেলে। কিছু High Level Language হলো Java, C++, PHP, BASIC ইত্যাদি। আমরা কিছুক্ষনের মধ্যে যে প্রেগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শিখতে যাচ্ছি তাও হলো একটি High Level Programming Language. এই ভাষাটির নাম হলো Small Basic.
Small Basic ভাষাটি তৈরী করা হয়েছে মূলত যারা কখনও প্রোগ্রামিং করেনি তাদের জন্য। এটি ছোট বাচ্চাদের জন্য অনেক উপযোগী একটি ভাষা। এছাড়াও বড়রা যারা কখনও প্রোগ্রামিং করেননি তারাও এই ভাষাটি শিখে অনেক মজা পাবেন। সব প্রোগ্রামিং এর মূল জিনিস কিন্তু একই। তাই এই আপনি এই প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজটি শিখলে অন্য যে কোন ভাষা খুব সহজেই শিখতে পারবেন।

Microsoft Small Basic ডাউনলোড

Small Basic এ কোডিং করার জন্য আমাদের একটি Environment দরকার। উইন্ডোজে এই এনভায়রনমেন্টের নাম হলো Microsoft Small Basic. নিচের বাটনটিতে ক্লিক করে আপনি এখনি এখান থেকে  Microsoft Small Basic সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন। ফাইল সাইজ মাত্র ৬ মেগাবাইট।

ইন্সটলেশন ও এনভায়রনমেন্ট পরিচিতি

আশাকরি এতক্ষনে আপনার সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করা শেষ। তো এবার যথারিতী সাধারণ নিয়মেই ইন্সটল করে ফেলুন। ইন্সটল করা হয়ে গেলে Microsoft Small Basic আপনি Start > All Programs > Small Basic থেকে চালু করুন। আর আপনি যদি Windows 8 ব্যবহার করে থাকেন তাহলে Start Screen এই আপনি Microsoft Small Basic এর আইকন দেখতে পারবেন। তো Microsoft Small Basic চালু করলে আপনি নিচের মতো  দেখতে পারবেন।

এখানে আপনাদের সুবিধার্তে আমি অংশগুলো চিহ্নিত করে দিচ্ছি।
১ নম্বর অংশটি হলো টুলবার। এখানে আপনি আপনার করা কোডগুলো সেভ / ওপেন / কপি / পেস্ট / রান করতে পারবেন।
২ নম্বর চিহ্নিত অংশটি হলো এডিটর। এই এডিটরে আপনি আপনার মূল প্রোগ্রামিং কোডগুলো লিখবেন।
৩ নম্বর চিহ্নিত অংশটি হলো সারফেস ও সাইডবার। সারফেসে একাধিক এডিটর থাকতে পারে। এবং সাইডবারে আপনি কোড সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য দেখতে পারবেন।

প্রথম প্রোগ্রাম

দেরি না করে চলুন আমরা আমাদের তৈরী প্রথম প্রোগ্রামটি লিখে ফেলি। পৃথিবীর সবাই মূলত Hello World লিখেই প্রোগ্রাম শুরু করে। আমরাও তাই করবো। প্রথমেই আপনি নিচের কোডটুক এডিটরে লিখে ফেলুন।
TextWindow.WriteLine("Hello World")
এবার সেভ  করে নিন HelloWorld নামে। সেভ করা হয়ে গেলে বা কোড লিখলে আপনি টেক্সট এডিটরটি ঠিক নিচের মতো দেখতে পারবেন।

এবার আপনি টুলবার থেকে Run বাটনে ক্লিক করুন। অথবা কীবোর্ডের F5 বাটনটি চেপে আপনার লেখা প্রথম প্রোগ্রামটি রান করুন। আপনি সঠিকভালে লিখে থাকলে নিচের মতো একটি কালো উইন্ডোতে Hello World লেখাটি দেখতে পারবেন।

উপরের মতো দেখতে পেরেছেন কি? তাহলে আপনাকে অভিনন্দন। এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা শুরু করুন। কারণ আপনি আপনার প্রথম প্রোগ্রামটি সফলভাবে লিখে রান করেছেন। আর হ্যাঁ আমাকেও ইমেইলের মাধ্যমে মিষ্টি পাঠাতে ভুলবেন না। ;-)
এবার প্রোগ্রামটি ক্লোস করে দিন।

প্রথম প্রোগ্রামের ব্যাখ্যা

আপনি তো প্রোগ্রাম লেখা ইতমধ্যে শিখে গেলেন তাইনা? এবার শুধুই জানা দরকার আসলে আমরা কি করলাম। প্রথমেই আমরা লিখেছি TextWindow এর মাধ্যমে আমরা Text Window কে কল করলাম। এখানে TextWindow কে সাধারনত কনসোল বলা হয়ে থাকে। আমরা যে কালো স্ক্রিনে Hello World লেখা দেখতে পেরেছি সেটাকেই TextWindow বা Console বলে। এখানে TextWindow হলো একটি অবজেক্ট। এখন আপনার মাথায় প্রশ্ন আসতে পারে অবজেক্ট কি?
আমাদের চারপাশের যে কোন জিনিসকেই আমরা অবজেক্ট বলতে পারি। আমি ধরে নিচ্ছি আপনিও আমার মতো একটি ল্যাপটপে প্রোগ্রাম লিখতেছেন। এই ল্যাপটপ হলো একটি অবজেক্ট। এখন দেখে নেই এই ল্যাপটপ কি করতে পারে?
  1. হিসাব করতে পারে
  2. গান শোনাতে পারে
  3. ভিডিও দেখাতে পারে , ইত্যাদি।
এই কাজগুলো হলো ল্যাপটপ নামক অবজেক্টটির কাজ বা Operation.
ঠিক এরকম TextWindow এরও কিছু অপারেশন আছে। এরকম একটি অপারেশন হলো WriteLine(). এই WriteLine অপারেশনের মাধ্যমে আমরা যেকোন লেখা টেক্সট উইন্ডো বা কনসোলে দেখতে পারবো। একটা অবজেক্টের পর . (ডট) চিহ্ন দিয়ে আমরা তার অপারেশন লিখব।  WriteLine এর সাথে একজোড়া প্রথম বন্ধনীর মধ্যে ডাবল কোটেশন চিহ্ণের মধ্যে আমরা যাই লিখবো তাই আমরা আউটপুট দেখতে পারবো। এখানে আমরা WriteLine(“Hello World”) লিখেছি। তাই আমাদের স্ক্রীনে Hello World লেখাটি এসেছে। এখন যদি আমরা লিখিঃ
TextWindow.WriteLine("Hello Techtunes, I am a programmer.")
তাহলে আমরা কি দেখতে পারবো?? অবশ্যই সেটা কমেন্টে জানাবেন।
আজ এতোটুকুই থাক। আগামী পর্বে আমরা আরও অনেক কিছু শিখবো। এবং প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে অনেক মজা করবে। আল্লাহ হাফেজ।

“ওরাকল ও ডেভেলপার” ইঞ্জিনিয়ার [পর্ব-২] :: প্রাথমিক আলোচনা ও নীতিমালা

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম। বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন?আমি ভাল নাই,আগের টিউন টি রাতে লিখছিলাম এতে ঠান্ডা ধরছে খুবই অসুস্থ । আপনাদের আগ্রহ দেখে অসুস্থ শরীরে বসে গেলাম লিখতে । জানিনা ১ম র্পব আপনাদের কেমন লেগেছে ? আশা করি কিছু হলেও শিখেছেন.আজ শুধু বক বক করব । Internetএ অনেক ঘাটা ঘাটিঁ করে দেখলাম Oracle সর্ম্পকে জানতে কিন্তু তেমন পেলাম না ।এখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি সোহাগ বিশাল ডেটাবেজ(তথ্য ভান্ডার)সিংহের মত রাজত্র করতে হাজির হয়েছি ওরাকল উপর সর্ম্পুন কোর্স নিয়ে । বাকি টা আল্লাহ্ হাতে ।আমার টিউন থেকে যদি ১ জন হলেও ওরাকল ইঞ্জিনিয়িার হতে পারে তাহলে আমি সার্থক হব । এই আশা রেখে আজকের পর্ব শুরু করছি
ছোট মুখে বড় কথা বলছি আমাকে ক্ষমা করবেন । ওরাকল ইঞ্জিনিয়িার  হতে হলে আপনাকে অনেক কিছু ছাড়তে হবে এবং যোগ করতে হবে
  • অলস্যতাকে বিদায় করে নতুন করে কঠোর পরিশ্রম করার প্রস্তুতি নিন
  • অনেক কাজের মধ্যে ১টি কাজ স্থির করুন--হতে পারে ওরাকল বা অন্য বিষয়যাচাই করে দেখবেন যে বিষয় প্রতি আগ্রহ জন্মায়
  • চ‌্যালেন্জ গ্রহন করার প্রস্তুতি নিন 
  • এখন থেকে নিজেকে ১লক্ষ লোকের থেকে আলাদা ভাবুন -এটি কেন বলছি পরে বলব
উপরের কথা গুলো শুধুমাত্র ওরাকল ইঞ্জিনিয়িার যারা হতে আগ্রহি তাদের জন‌্য । বাকীরা শুধু পড়ে যান
যদি আপনি সত্যিই ওরাকল ইঞ্জিনিয়িার হতে চান,তাহলে আপনাকে"১০০০ কিঃমি পায়ে হেঁটে যাওয়ার প্রস্তুতি নিন" কথাটি বলছি এই জন্য আপনাকে এখানে সাহায্য করার বা পাওয়ার মত আশেপাশে কেউ নেই ।আপনাকে একাই হেঁটে গন্ত্যবে পেীছাঁতে হবে আর যাওয়ার জন্য সাহায্য করবে বই আর টিপস এন্ড ট্রিকস । যদিও ওরাকলের কোর্স গুটি কয়েকটি প্রতিষ্ঠান করায় কিন্তু টাকা অনেক বেশি ভয় পেয়ে যাবেন তাই বলছি না । যদি পেীছেঁ যেতে পারেন আপনাকে আর পিছনের দিকে তাকাতে হবে না । ভবিষ্যৎ জীবন সুখে কাটাতে পারবনে । ফুলের বাগানের মত সুগন্ধ চারিদিকে ছডিয়ে পড়বে

আমি যে ভাবে আপনাদের জন্য কোর্স সাজিয়েছি


  • প্রতি টিউন এ ২-৩টি/Program উপর  Topics  থাকবে ।
  • Topics এর বিশ্লেষন থাকবে ।
  • কি শিখেছেন সংক্ষিপ্ত(সারসংক্ষেপ)আঁকারে মূলায়ন করব।
  • প্রশ্ন থাকবে নিয়মিত । উত্তর দিতে হবে আপনাদেরকে । আগে যে উত্তর দিবে তার নাম প্রকাশ করা হবে ।
  • প্রতি ৫ টিউন এ ১টি করে পরীক্ষা নিব ।
  • প্রতি সপ্তাহে ২টি টিউন থাকবে ।
এটি সর্ম্পুন নির্ভর করবে আপনাদের আগ্রাহর উপর

আপনাদের কাজ কী ?


  • প্রথমে আপনাদেরকে অবশ্যই নাম ও ঠিকানা আমার কাছে পাঠাতে হবে । আমি লিষ্ট তৈরী করব পরের টিউন এ প্রকাশ করা হবে (EMAIL:RAHIMUDDIN2012@GMAIL.COM OR FACEBOOK :SHOHAG CID ) এই ঠিকানায় ।
  • ৬ মাস-১ বছর এর জন টার্গেট করুন ।
  • ৫০ টাকা দিয়ে থাতা কিনুন এবং হ্যান্ডনোট লেখার চেষ্টা করুন ।
  • আমার মত ছোট প্যাড পকেটে রাখবেন । Importent কোন তথ্য পেলে নোট করুন ।
  • প্রতিদিন ১-২ ঘন্টা সময় বের করুন ওরাকলের জন্য ।
  • যে টিউন দিব শুধুমাত্র ঐ অধ‌্যায় নিয়ে গবেষনা করুন   ঐ সর্ম্পকে আরো তথ্য সংগ্রহ করুন ।
  • অলস্যতা ত্যাগের জন্য খুব ভোরে উঠার চেষ্টা করুন । সম্ভব হলে ফজর নামাজ পড়ার  ‌অভ্যাস করুন ও ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন ।
  • ইংরেজী ভাল ভাবে শেখার চেষ্টা করুন । প্রতিদিন ৫টা বাক্য শিখুন
উপরের তথ্য গুলো আপনি মেনে চলতে পারেন তাহলে আগামি ২০১৪-১৫ সালের মধ্যে আপনি হতে পারেন "ওরাকল ও ডেভেলপার" ইঞ্জিনিয়িার ইনশাল্লাহ্ আর এই জন‌্য আল্লাহ্ র সাহায্য চাইবেন । সম্ভব হলে সপ্তাহে ৩০ মিনিট একান্ত ভাবে আল্লাহকে ডাকুন ।

আজকে আমরা শিখব ও জানব

  1. ওরাকল কী ?কোথায় কোথায় এর ব্যবহার করা হয়
  2. কাদের জন্য ওরাকল এবং কারা শিখতে পারবে,শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটুকু লাগবে ?
  3. শিখলে চাকুরি ক্ষেত্র কেমন ?
চলুন জেনে আসি

প্রশ্ন : ওরাকল কী ?কোথায় কোথায় এর ব্যবহার করা হয়


উত্তর : সংক্ষেপে বলি ওরাকল হচ্ছে ডাটাবেজ সফটওয়্যার এটি তৈরী করা হয়েছে ডেটা সংরক্ষন  ও নিরাপত্তা বিধানের করার জন্য ।  । পৃথিবীতে বর্তমানে  একমাত্র ওরাকলই ডেটাবেজ সফটওয়্যার নিমার্তা কোম্পানী । ওরাকল কোম্পানীর প্রোগ্রাম সবর্ত্র ‌ব্যবহার হচ্ছে এবং একটি শক্তিশালী ডেটাবেজ প্রোগ্রাম হিসাবে সবর্ত্র ব্যবহার হচ্ছে। । ORACLE এ RDBMS(RELATIONAL DATABASE MANAGEMENT SYSTEM) support করে বর্তমানে ওরাকলের ১২সি ভার্সন বাজারে আসছে
  • Oracle zero % data loss.
  • User friendly
  • Oracle যেকোন Platform এ সম্বব // Window, Linux
ব্যবহার ক্ষেত্র: সরকারী- বেসরকারী ব্যাংক,বিভিন্ন শিন্প কলকারখানা,গার্মেন্ট-ফ্যাক্টরি,মোবাইল অপাটের ইত‌্যাদি

প্রশ্ন : কাদের জন্য ওরাকল এবং কারা শিখতে পারবে,শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটুকু লাগবে ?


উত্তর : সবার জন‌্য ওরাকল ?ওরাকল কাজ সবাই শিখতে পারবে ..চাকরিতে তারা পড়ালেখার সার্টিফিকেট দেখে না তারা আপনার কাছে চাইবে শুধু কাজ,,ভেন্ডর সার্টিফিকেট নিতে পারলে ত কথাই নাই

প্রশ্ন :শিখলে চাকুরি ক্ষেত্র কেমন ?

যেহেতু অনেক বড় ধরনের ব্যাপার-সেপার //চাকুরীর ক্ষেত্র এখন অনেকটাই খালি এই কারণে প্রথমে বলেছি .নিজেকে ১লক্ষ লোকের মধ্যে আলাধা ভাবুন .ভাল কাজ জানেন তাহলে প্রতিমাসে ১লক্ষ-২.৫লক্ষ টাকা ইনকাম করা বেপার না  ।এক্ষেতে আপনাকে ভেন্ডর সার্টিফিকেট অর্জন করতে হবে ।
আজ আর পারবো না । সবাই ঘুমাচ্ছে আমি শুধু জেগে জেগে আপনাদের জন্য টিউন তৈরী করছি এখন রাত ৪:১২ মিনিট একটু পরে ফজরের আযান দিবে ..এখানে সর্ম্পুন লেখা আমি লিখেছি কোথাও থেকে কপি পেষ্ট করি নাই । ভুল করে থাকলে ক্ষমা করে দিবেন এবং ভুল ধরে দিবেন আমি অন্যদের মত সাজিয়ে লিখতে পারি না । আপনাদের মতামতের ভিত্তিতে আগামি টিউন হবে..অবশ্যই কেমন লাগছে বলবেন । সবাইকে ধন্যবাদ